Swami Pradiptananda: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে চুপ করে থাকব না, ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন: কার্তিক মহারাজ

লোকসভা ভোটের প্রচারে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ করে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করতে চলেছেন মহারাজের অনুগামী ও ভক্তরা। রবিবার বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘ আশ্রম সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি তাঁর কানে এসেছে বলে জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ।

আরও পড়ুন: ‘পিসি-ভাইপোকে ছাড়ব না…হারিয়ে দেখাব,’ জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক সন্দেশখালির মাম্পি

পড়তে থাকুন: ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি, BJP কর্মী খুনের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে NIA

রবিবার সংবাদমাধ্যমকে বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, ‘আমি কোথাও এরকম কোনও কথা বলিনি যে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী কার কাছে এসব শুনেছেন আমি জানি না। আমি তো রাজনীতির লোকই নই। আর্তের সেবা করা আমার কাজ। কিন্তু আমি একজন হিন্দু। আর হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। রেজিনগরে ওনার দলের বিধায়ক যখন বললেন ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব তখন উনি কোনও প্রতিবাদ করেননি কেন? ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন।’

শনিবার এক নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানেশ্বরীর দায় নেবেন তো!’ ছত্রধর প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

এই মন্তব্যের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটপ্রচারে পশ্চিমবঙ্গে এসে তিনি বলেন, ভোটে যে তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, হিংসা করায় তারা এবার সব সীমা পার করে দিয়েছে। আজ দেশ ও দুনিয়ায় ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘ সেবা ও সদাচারের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। তারা ভারতের নাম উজ্জ্বল করে। কিন্তু আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীদের খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছেন। খোলাখুলি হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। দুনিয়াজুড়ে এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ অনুগামী থাকেন। আর এদের উদ্দেশ শুধুমাত্র মানুষের সেবা করা। বাংলার সরকার তাদের দিকে আঙুল উঠিয়ে তাদের নাম নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এই দুঃসাহস কেবলমাত্র নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে। সেই লক্ষ্যে তৃণমূল এত নীচে নেমে গিয়েছে। এদের বাংলার মানুষের কোনও চিন্তা নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাবাবেগের কোনও চিন্তা নেই।