ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য গ্যান্টজের পদত্যাগের হুমকি

গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা না থাকলে পদত্যাগ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। শনিবার (১৮ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজার জন্য ৮ জুনের মধ্যে ছয়টি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনার দাবি করেছেন গ্যান্টজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

গ্যান্টজ বলেন, যদি আপনি জাতীয় স্বার্থকে ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেন, তাহলে আপনি আমাদেরকে এই সংগ্রামে অংশীদার হিসেবে পাবেন। কিন্তু যদি উগ্রপন্থা বেছে নেন এবং পুরো জাতিকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যান, তাহলে আমরা সরকার ছাড়তে বাধ্য হবো।

অবশ্য নেতানিয়াহু তার এই মন্তব্যকে ফালতু কথা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর অর্ধ ইসরায়েলের পরাজয়।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে গ্যান্টজ বলেছেন, ইসরায়েলের মানুষ আপনাকে দেখছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের পরদিনই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, বেনি গ্যান্টজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে নিয়ে এই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। কিন্তু যুদ্ধোত্তর গাজার শাসনভার কে নেবে বা গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে এই মন্ত্রিসভায় ভাঙনের সুর দেখা দিয়েছে। 

কয়েকদিন আগেই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট  নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন। তিনি নেতানিয়াহুকে জনসমক্ষে বলার আহ্বান জানিয়েছেন যে, গাজায় বেসামরিক ও সামরিক শাসন নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ইসরায়েলের নেই। গ্যালান্টের এমন মন্তব্যের পরপরই পদত্যাগের হুমকি দিলেন গ্যান্টজ।

যুদ্ধের দিকনির্দেশনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যেও, গাজার উভয় প্রান্তে লড়াই চলছে। গাজার জাবালিয়াতে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই এলাকাটি হামাস মুক্ত বলে আগে ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এখানেই গাজার শরণার্থী শিবিরগুলো অবস্থিত।

গ্যালান্টের দাবি, কয়েক মাস ধরে এই ইস্যুটি বারবার উত্থাপন করলেও, তাতে সাড়া পাননি তিনি।

গ্যালান্ট ও গ্যান্টজ ইভয়ের মতে, গাজায় সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলে, ইসরায়েলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে। এদিকে, নেতানিয়াহুর শাসক জোটের কট্টর ডানপন্থি সদস্যরা বিশ্বাস করেন হামাসকে পরাজিত করতে অব্যাহত নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।