আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে দ্বিধায় ব্যাটারিরিকশা চালকদের সংগঠন

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচলের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার পর নিজেদের ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন ‘রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদ’ ব্যানারে আন্দোলন করা চালকেরা। তারা বলছেন, ঢাকায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলেও এখনও অন্যান্য দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশনা আসেনি। তাই আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গুলিস্তানে ওলামা লীগের সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের কথা  বিবেচনা করে শুধু ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২২টি মহাসড়কে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে ‘রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদ’। সংগঠনটির নেতাদের দাবি থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স প্রদান ও রুট পারমিটসহ ৭ দফা দাবি মানতে হবে। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ মে সারা দেশে বিক্ষোভ করা হবে।

তবে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার পর ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে আসেননি সংগঠনটির নেতারা।

রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার নেত্রী ও অর্থ সম্পাদক রোখশানা আফরোজ আশা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অটোরিকশা ও ইজিবাইকের বিষয়টি তো শুধু ঢাকার বিষয় না। আমরা ২৭ তারিখ যে ঘোষণা দিয়েছি সে অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে ঢাকার বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। সেটা আলোচনা করে বলবো।

তবে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা স্মারকলিপি জমা দেবো।

কোথায় স্মারকলিপি জমা দেবেন— জানতে চাইলে স্পষ্ট করে নাম বলতে পারেননি। একবার বলছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় আবার বলছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বরাবর।