মন্দিরে লাইব্রেরি তৈরি করা উচিত! হঠাৎই কেন এ কথা বললেন ISRO প্রধান এস সোমনাথ

ভারতের তরুণরা আজকাল মন্দিরে যান না। তাই তাঁদের মন্দিরে নিয়ে আসতে মন্দির কর্তৃপক্ষগুলোকে বড় পরামর্শ দিয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। সোমনাথ বলেছেন, দেশের মন্দিরেও লাইব্রেরি থাকতে হবে। ইসরো চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ মন্দিরে লাইব্রেরি নির্মাণের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, এই ধরনের উদ্যোগ তরুণদের মন্দিরে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে, যেখানে তাঁরা পড়াশোনা করতে, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। মন্দিরগুলি কেবল এমন জায়গা হওয়া উচিত নয় যেখানে প্রবীণরা ঈশ্বরের নাম জপ করতে আসেন। সমাজে পরিবর্তন আনার জায়গা হওয়া উচিত মন্দিরগুলি।

  • মন্দিরে লাইব্রেরি করা হয় না কেন

তিরুবনন্তপুরমের উদিয়ানুর মন্দিরে একটি পুরস্কার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সোমনাথ। সেখানেই তিনি মন্দিরের প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করার জন্য মন্দির পরিচালনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ারের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণের পর, এস সোমনাথ বলেছিলেন যে আমি আশা করেছিলাম যে এই পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক তরুণ আসবেন, তবে কোনওভাবে তাঁদের সংখ্যা খুব কম। তাই তরুণদের মন্দিরের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য অন্যভাবে মন্দির পরিচালনার কাজ করা উচিত। এরপরেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, মন্দিরে লাইব্রেরি স্থাপিত হয় না কেন? ইসরো প্রধান আরও বলেছেন যে এই ধরনের উদ্যোগ তরুণদেরকে মন্দিরের দিকে আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে যেখানে তাঁরা সন্ধ্যায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারে এবং এবং ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে একধাপ এগোতে পারেন।

সোমনাথ বলেছেন, ‘মন্দির ব্যবস্থাপনা যদি এই দিকে কাজ করে তবে এটি বড় পরিবর্তন আনবে।’ প্রাক্তন মুখ্য সচিব কে জয়কুমার এবং বিধায়ক ভি কে প্রশান্ত এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভারত ২৩ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে চাঁদে অবতরণ করে ইতিহাস তৈরি করেছে। রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত এখন চতুর্থ দেশ। এটি দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশও।চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর ভারতের পরবর্তী মিশন চন্দ্রযান-৪। এই মিশনের উদ্দেশ্য হল চাঁদের পাথর এবং মাটি পৃথিবীতে নিয়ে আসা। চন্দ্রযান-৪-এর ল্যান্ডারও শিব শক্তি পয়েন্টের কাছে অবতরণের চেষ্টা করবে। শিব শক্তি পয়েন্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি। দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে, কারণ এই স্থানে বরফ আকারে জল থাকতে পারে। এটি ভবিষ্যতের চাঁদ বেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। এছাড়া এটি রকেটের জ্বালানিতেও ব্যবহার করা যায়।