Photo Cake: নিমেষেই ফটো কেক তৈরি করছে Zomato! ডেলিভারি দিচ্ছে ৩০ মিনিটেই, মাথায় হাত ঘরোয়া কেক ব্যবসায়ীদের

ডেলিভারি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। পছন্দের ছবি সহ পছন্দের কেক তৈরি করা হবে মাত্র কয়েক মিনিটেই। অন্যান্য অনলাইন খাবারের মতো অর্ডার দিলেই বাড়ি বয়ে কাস্টমাইজড কেক দিয়ে যাবে ডেলিভারি বয়। দারুণ সুবিধা নিয়ে হাজির অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। ঘরোয়া কেক ব্যাবসায়ীদের মাথায় হাত।

যে কোনও বিশেষ দিন, বিবাহবার্ষিকী হোক বা প্রেমের উদযাপন, কিংবা কোনও সফলতার পার্টি, সবেতেই আজকাল একটি করে কেক কাটা ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ আবার তাঁদের দিনটিকে আরও একটু বিশেষ করে তুলতে একটি কাস্টমাইজড কেক অর্ডার করতে চান। সাধারণত এই ধরনের কেক তৈরি করতে প্রায় ২-৩ ঘন্টা বা অর্ধেক দিন সময় লেগে যায়। তাই অনেক সময় কাস্টমাইজড কেক পাওয়ার ইচ্ছেটা ইচ্ছে হয়েই থেকে যায়। এবার এক্ষেত্রে জোম্যাটো সাহায্য করতে পারে। গ্রাহকদের সময় বাঁচাতে ফটো কেক পরিষেবা শুরু করেছে জোম্যাটো।

সিইও দীপিন্দর গোয়েল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ এই দারুণ পরিষেবার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দীপিন্দর গোয়েল লিখেছেন, ‘আজকের জন্য আরও একটি দারুণ আপডেট – আমরা এইমাত্র @Zomato-এ ফটো কেক চালু করেছি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এখন থেকে আপনি আপনার ছবি আপলোড করে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে একটি কাস্টমাইজড কেক ডেলিভারি পেয়ে যাবেন।’

গোয়েল নিজেই তাঁর একজন কর্মচারীর কাজের বার্ষিকী উদযাপন করতে নতুন ফটো কেক পরিষেবা ব্যবহার করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে গোয়েল লিখেছিলেন যে ‘আমি নিজে এই ফিচারটি ট্রাই করেছি এবং আশনাকে জোম্যাটোতে ১০ বছর পূর্ণ করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি এইভাবেই।’ আশনা ২০ বছরে পা দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন পরে জোমাটোতে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি এইচআর দলের সহ-নেতৃত্ব করছেন। গোয়েল আশা করছেন গ্রাহকেরা এই ফটো কেক পরিষেবাটিও ব্যবহার করে দেখবেন। যদিও, বর্তমানে এই সুবিধা শুধুমাত্র দিল্লি এনসিআর-এর কিছু নির্বাচিত এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শীঘ্রই এই পরিষেবা অন্যান্য শহরেও পাওয়া যাবে।

মূলত, মাদারস ডে উপলক্ষ্যে এই বিশেষ ফটো কেক পরিষেবা চালু করেছিল কোম্পানি। পরিষেবার দেওয়ার বিষয়টি সম্ভব করার জন্য জোম্যাটোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করা রেস্তোরাঁগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে গোয়াল বলেছেন, ‘মাদারস ডে’র প্রস্তুতিতে আমাদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমাদের রেস্তোরাঁর অংশীদারদের অনেক ধন্যবাদ।’