Sevoke-Rongpo Rail Project: শেষের মুখে সেভক-রংপো রেল প্রকল্পের টানেল, দার্জিলিংয়ে কাজের বিরাট অগ্রগতি

সেভক-রংপো  রেল প্রজেক্ট নিয়ে বিরাট খবর। উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে নিশ্চিত করেছে যে সেভক-রংপো রেলওয়ে প্রকল্পের টানেলের কাজ ৯৩ শতাংশ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ২০০৯ সালে এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। ৪৫ কিমি দীর্ঘ এই রেলপ্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সিকিমের সঙ্গে রেলপথে সংযোগ করা সম্ভব হবে। 

কী আছে এই প্রকল্পে? 

এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে ১৪টি টানেল রয়েছে। তার মধ্য়ে ১৩টি প্রধান  ও ৯টি ছোট ব্রিজ রয়েছে। পাঁচটি স্টেশন রয়েছে এই পথে। গত সপ্তাহে ৩.৯৪৮ মিটার  একটি প্রধান টানেলে বড়সর অগ্রগতি হয়েছে। এটা পড়ছে দার্জিলিংয়ের হনুমানঝোরার কাছে। 

সিকিমে একমাত্র স্টেশন হচ্ছে সেটা হল রংপো। বাকি চারটি স্টেশন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য়ে। এরপর থেকে আগামীদিনে এই রেলপথকে সম্প্রসারিত হতে পারে। সেটা সম্প্রসারিত হয়ে গ্যাংটক, সিকিম যেতে পারে। 

নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৮ মে দার্জিলিংয়ে অবস্থিত একটি টানেলে বড় সাফল্য মিলেছে। প্রজেক্টে টানেলগুলি খনন কাজ করা হয়েছে। 

এদিকে গত এপ্রিল মাসে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন তথা সিইও জয়া ভার্মা সিনহা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। টানেল ১, ৭,৮ ও মাটির নীচে দিয়ে আর যে অংশগুলি রয়েছে তার কিছুটা তিনি খতিয়ে দেখেছিলেন। সেই সময় রেলমন্ত্রক একটি টুইট করে জানিয়েছিল শ্রীমতি জয়া ভার্মা সিনহা টানেল নম্বর ১,৭,৮ ও সেভক রংপো রেল প্রকল্পের মাটির নীচের অংশগুলি পরিদর্শন করেছেন। এদিকে এই সেভক রংপো রেল প্রকল্প শেষ পর্যন্ত কবে শেষ হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকের। 

সূত্রের খবর, সেভক-রংপো রেলপ্রকল্পটি ২০০৮-০৯ সালের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এটার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৪.৯৬ কিমি। তার মধ্য়ে ৪১.৫৫ কিমিই পশ্চিমবঙ্গের মধ্য়ে অবস্থিত। বাকি মাত্র ৩.৪১ কিমি অংশটি সিকিমের মধ্য়ে অবস্থিত। এটাকে গোটা দেশের অন্যতম প্রধান রেলপ্রকল্প বলে গণ্য় করা হয়। এটাকে সিকিমের সঙ্গে একটি বিকল্প রুট বলেও ধরা হয়। 

এই প্রকল্পের আওতায় একাধিক টানেল রয়েছে। সেই টানেলের মধ্য়ে অধিকাংশই বাংলায় অবস্থিত। আমেরিকার ইঞ্জিনিয়ারদেরও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে এই টানেলের রূপায়নের ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে দেশের এক ঝাঁক সেরা ইঞ্জিনিয়ার এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। সেক্ষেত্রে এবার কবে শেষ হয় সেটাই দেখার।