Green tea: গরমে শরীরের জলের চাহিদা মেটানোর জন্য রোজ খান এক কাপ গ্রিন টি, সঙ্গে কী কী লাভ হবে

শীতকাল হোক অথবা বর্ষাকাল, সুযোগ পেলেই ভারতীয়রা চায়ের কাপে চুমুক দিতে ভালোবাসেন। তীব্র গরমেও চায়ের চুমুক থেকে আলাদা করা যায় না চা লাভারদের। দুধ চা, কালো চায়ের মতো আরো একটি চা এখন বেশ জনপ্রিয়, সেটি হল গ্রিন টি।

গরমে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা

অনেকে মনে করেন, গ্রীষ্মকালে চা অথবা কফির মতো গ্রিন টি খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন, এই ধারণাটি একেবারে ভুল। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা গ্রিন টি কে একটি বিকল্প স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে বেছে নেন। গ্রিন টি শুধু আপনাকে সতেজ করবে তা নয়, আপনার শরীরের জলের অভাবকেও দূর করবে।

(আরো পড়ুন: কীভাবে ভেনিসের মুদ্রা ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতে? ইতিহাসের পাতায় লেখা বিস্ময়কর অধ্যায়)

কেন গরমে খাবেন গ্রিন টি

প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অফ পানসারি গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার কুমুদ রঞ্জন বলেন, গ্রীষ্মকালে প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ নিজেকে হাইড্রেটেড করে রাখতে চান। গরমে আপনার শরীরের জলের চাহিদা ৯৯.৫% পূরণ করতে পারে গ্রিন টি। গ্রিন টি কে জলের পর সব থেকে সতেজ এবং হাইড্রেটিং পানীয় হিসেবে ধরা হয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রিন টি একটি কম ক্যালরিযুক্ত পানীয় হওয়ার কারণে মধুমেয় রোগে আক্রান্ত রোগীরা গ্রিন টি পান করতে পারেন। এটি শরীরের জলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শক্তি বাড়ায়। গ্রিন টি তে থাকে এল থেনাইন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যেটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অনেকে এখন কফির পরিবর্তে গ্রিন টি খেতে পছন্দ করেন।

(আরো পড়ুন:গ্যাস-অম্বলে জেরবার? বেছে নিন মা ঠাকুমার এই ম্যাজিক মিশ্রণ)

গ্রিন টি পান করার অন্যান্য উপকারিতা

নিয়ম মেনে যদি আপনি গ্রিন টি খান তাহলে ক্যান্সার, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং অ্যালজাইমার্স রোগের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না যদি আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে গ্রিন টি পান করেন। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টির জুড়ি মেলা ভার। তবে খালি পেটে কখনও এটি পান করা যাবে না, দুপুরে বা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর গ্রিন টি পান করতে পারেন। একটি দিনে সর্বাধিক পাঁচবার গ্রিন টি পান করতে পারেন।