উচ্ছ্বাসে ভাসছেন ব্রুজন, আলফাজের তীব্র ক্ষোভ

ফেডারেশন কাপে এই মৌসুমে টানা তিনটি ট্রফি জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। স্বাধীনতা কাপ, প্রিমিয়ার লিগের পর আজ ফেডারেশন কাপের ট্রফি নিয়ে উৎসব করেছে অস্কার ব্রুজনের দল। তবে ময়মনসিংহের মাঠে ফাইনাল নিয়ে কথা কম হচ্ছে না। বিশেষ করে রেফারিং নিয়ে যত সমালোচনা।

কিংসের মতো স্প্যানিশ কোচ ব্রুজনও প্রথমবারের মতো পেলেন এক মৌসুমে তিন শিরোপা জয়ের স্বাদ। জানালেন, পরিশ্রমের কারণে এসেছে এই সাফল্য।

ম্যাচ শেষে ব্রুজন উৎসবের মাঝে বলেছেন, ‘খুবই শিহরণ জাগানিয়া ম্যাচ ছিল। উত্তেজনায় ঠাসা একটি ম্যাচ। বিশেষ করে প্রথম গোল হজমের পর অনেক আবেগ কাজ করছিল আমাদের মধ্যে। কিন্তু আমরা শান্ত ছিলাম… মোরসালিন (শেখ) দারুণ করেছে; শেষ দিকে আক্রমণের লিংকগুলো সে তৈরি করে দিয়েছে। সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, যেটা আমাদের আক্রমণ শানাতে খুব কাজে দিয়েছিল। ব্রিলিয়ান্ট একটা ম্যাচ হয়েছে। আমার মনে হয়, নিখুঁত ফুটবল ম্যাচ হয়েছে, টোটাল ফুটবল হয়েছে। ময়মনসিংহে অনেক সমর্থক আমাদের সমর্থন করতে এসেছেন। পুরো মৌসুমে দেখার মতো সেরা দৃশ্য ছিল এটি।’

ট্রেবল জয় নিয়ে আলাদা করে কিংস কোচ বলেছেন, ‘প্রতিদিন মাঠে আমরা যেটা করেছি, তারই সিঁড়ি বেয়ে ট্রেবল এসেছে। যে নিবেদন, ইচ্ছাশক্তি আমাদের ছিল, ট্রেবল এসেছে এগুলোর সাথে আমাদের সুন্দর কাজের সূত্র ধরে। কিংস কর্তৃপক্ষ, আমাদের টিম স্টাফ, বলবয়- সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আমরা ভিন্ন একটি দল।’

ম্যাচ জুড়ে মোহামেডানের তেকাঠির নিচে প্রতিরোধের দেওয়াল হয়ে ছিলেন সুজন হোসেন। মিগেলের একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত শটে পরাস্ত হওয়ার পর ১০৪ মিনিটে কর্নার থেকে তালগোল পাকিয়ে গোল হজম করলে দলের হার নিশ্চিত হয়। এই গোলের প্রতিবাদে মোহামেডানের খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে অবস্থান নেন ফাউলের দাবি করে।

রিপ্লেতে চোখ রাখলে পরিষ্কার, সুজন লাফিয়ে ওঠার সময় বোবুরবেক ইয়ুলদাশভ ও সুলেমানে দিয়াবাতেও কিছুটা লাফিয়ে উঠেছিলেন, সেসময় কিংস ডিফেন্ডারের হালকা পুশ ছিল দিয়াবাতের পিঠে, ধাক্কা খেয়ে দিয়াবাতে পরে যান। সুজনকেও পরতে দেখা যায়।

এর আগে নির্ধারিত সময়ে বিশ্বনাথকে রেফারি জসিম আক্তার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড না দেখানোয় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মোহামেডানের ডাগআউট। ম্যাচ শেষে আলফাজ ক্ষোভ উগরে দেন রেফারিং নিয়ে।

আলফাজ বলেছেন, ‘প্রথম হলুদ কার্ড পাওয়ার পরে তিনটা ফাউল করছে (বিশ্বনাথ), তাও কার্ড দেয়নি। তাহলে আপনি কিভাবে খেলবেন? এত সাপোর্ট করলে কি খেলা যায়?”

গোলরক্ষক সুজনের দাবি বল তার গ্লাভস গলে বেরিয়ে যাওয়ার কারণ বোবুরবেকের ধাক্কা, ‘রেফারি শুরুতে ফাউলের বাঁশি বাজাতে গেছে, যেই দেখছে গোল, তখন দুই সেকেন্ড পর গোলের বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছে। তাদেরই জিজ্ঞেস করেন (নিয়ম)…. গোলকিপারের গায়ে হালকা টাচ লাগলেই ফাউল, আমার নাকি কারও টাচই লাগে নাই। টাচ না লাগলে আমি পড়ে গেলাম কীভাবে?’