Air Pollution in Kolkata: ‘কলকাতায় বায়ুদূষণ ৪০ শতাংশ কমেছে’ কেন্দ্রের রিপোর্ট তুলে ধরে দাবি ফিরহাদের

কলকাতায় বায়ুদূষণ একসময় উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। বিশ্বের ২০টি দূষিত শহরের মধ্যে ছিল এই কলকাতা। আর দেশের সবচেয়ে দূষিত মহানগরগুলির মধ্যে একটি ছিল এই কলকাতা। তারপরেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে একের পর এক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। আর তারপরে মিলেছে সাফল্য। বর্তমানে কলকাতার দূষণ অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আজ মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে পরিবেশ মন্ত্রকের তথ্য তুলে ধরে এই দাবি করেছেন কলকাতার মেয়র।

আরও পড়ুন: কলকাতায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ, স্প্রে করা হবে জল, নেভানো হবে ধাপার আগুন

প্রসঙ্গত, কলকাতা শহরে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা, যার মধ্যে গাছরোপণ থেকে শুরু করে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল করা। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজেও পদ্ধতিগত বদল আনা হয়েছে। মেয়র জানান, কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরসভা কলকাতাকে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অথচ এমন অনেক শহর হয়েছে, যেগুলি ২৫ শতাংশ অর্জন করতেও ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু, কলকাতা শহরের বায়ুদূষণ ৪০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে।

মেয়র আরও জানান, ২০২১ সাল থেকে কলকাতা পুরসভা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এবার সারা ভারতের মধ্যে কলকাতা শহর তৃতীয় দূষণমুক্ত শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী দিনে কলকাতাকে পুরোপুরি দূষণমুক্ত করতে কলকাতাবাসীর সমর্থন চেয়েছেন মেয়র।

পরিবেশ মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করলাম যে বাতাসের গুণগত মান ভালো করা যায়। সবথেকে দূষিত শহরগুলির মধ্যে কলকাতা ছিল। আমরা কীভাবে কলকাতায় বাতাসের গুণগত মান ভালো করব, তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলাম না। বিশ্বের ১৩৭টি বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা শহরের মধ্যে প্রথম ২০-এর মধ্যে কলকাতা ছিল।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বোস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মেয়র জানান, অধ্যাপকের পরামর্শ মেনে কলকাতা পুরসভা নির্মীয়মাণ এলাকাগুলিকে ঢেকে দেওয়া, দূষণ সৃষ্টিকারী ১৫ বছরের পুরনো যানগুলিকে বাদ দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেয়। তারপরে সাফল্য এসেছে। ফিরহাদের বার্তা, ‘আগামী প্রজন্মের জন্য বাতাসকে ঠিক রাখতে হবে। তাই এর জন্য সবার সমর্থন প্রয়োজন।’