Mamata Banerjee on bheri takeover : জোর করে ভেড়ি দখল রুখতে ‘পলিসি’ আনবে রাজ্য সরকার, বসিরহাটের সভায় জানালেন মমতা

সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের বিরুদ্ধে জোর করে ভেড়ি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ভেড়ি দখল করে মাছ করলেও লিজ বাবদ জমির মালিককে একটা পয়সা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ভাবে ভেড়ি দখল বন্ধ করতে এবার নতুন পলিসি আনবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী হাজি নরুল ইসলামের সমর্থনে বসিরহাটে জনসভায়, ভেড়ি নিয়ে নতুন ‘পলিসি’ আনার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সন্দেশখালি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে টাকির কাছে মেরুদন্ডী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘আপনাদের এখানে অনেক মাছের ভেড়ি আছে। অনেকে সেই ভেড়িগুলো দখল করে রেখেছে। মাছের ভেড়ি নিয়ে পলিসি করছি। যার ভেড়ি, সেই চাষ করবে। যদি কেউ না থাকে তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীরাই ভেড়িতে মাছ চাষ করবে। কারও ভেড়ি জোর করে কেড়ে নেওয়া যাবে না। আর সরকারকে রেভিনিউটা দিতে হবে।’

নজরে সন্দেশখালি

সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে জোর করে ভেড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মাসে তিন থেকে ৬ হাজার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ভেড়ি লিজ নেওয়া হলেও কোনও টাকাই দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ। সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ আন্দোলনের অন্যতম কারণ এই ভেড়ি দখলের অভিযোগ। তা রুখতে এবার মাছের ভেড়ির জন্য নতুন নীতি আনাবে রাজ্য সরকার। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালিতে ভোটের আগে মমতার এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন। ‘রাম বা রহিম হোক, কাউকে ছাড়ি না’, নাম শাহজাহান বলে সুবিধা মেলেনি, বোঝালেন মমতা

অভিযোগ থাকলে সরাসরি চিঠি

এদিন সভা থেকে বসিরহাট ও সন্দেখালির বাসিন্দাদের উদ্দেশে মমতা জানান, যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে সরাসরি তাঁকে জানাতে। তিনি বলেন,’যদি আপনাদের কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ বা অভিযোগ থাকে তবে জানানোর অধিকার আপনাদের আছে। আমার বাড়িতে সরাসরি চিঠি পাঠান। আমি জরুরি ভিত্তিতে সেই সব চিঠি দেখব। আমি সব করতে পারি না, তবে ৯৯.৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিই।’

সভা থেকে মমতা জানান বসিরহাটে হাজি নরুল ইসলাম জিতলে সবার প্রথম তিনি সন্দেশখালি যাবেন।

আরও পড়ুন। শ্লীলতাহানি তদন্তের মাঝে কলকাতা ত্যাগ বোসের, সঙ্গী আগাম জামিনে মুক্ত রাজভবন কর্মী

কেউ ছাড় পাবে না

বসিরহাটে তাঁর প্রথম নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে মমতা বলেন, সন্দেশখালির মহিলারা বিজেপির পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলায় কোনও মহিলার ক্ষতি হলে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,’যদি কোনও ঘটনা ঘটে, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিই। রাম, রহিম, কেষ্ট বা বিষ্টু যাই হোক না কেন, আমরা ভেদাভেদ করি না এবং কাউকেই রেহাই দেওয়া হয় না। উত্তরপ্রদেশে নারী ও দলিতরা নির্যাতিত হয় কিন্তু এখানে তা ঘটে না।’