Pak diplomat on alleged Indian Killings: ‘এই নতুন ভারত বাড়িতে ঢুকে মারে…’, বললেন UN-এ নিযুক্ত পাক দূত!

ভারতীয় নাগরিক সরবজিতের হত্যাকারীকে সম্প্রতি পাকিস্তানে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। এই ঘটনাতে এবার ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরই সঙ্গে পাকিস্তানে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সহ একাধিক সমাজবিরোধীর খুনের ‘প্যাটার্ন’ মিলিয়ে নিজের দাবির সপক্ষে যুক্তি খাড়া করেছিলেন পাক মন্ত্রী। এবার রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী দূত মুনীর আক্রাম বললেন, ‘এই নয়া ভারত খুবই ভয়ানক।’ এক শীর্ষ মার্কিন সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুনীর বলেন, ‘নতুন ভারত বাড়িতে ঢুকে আপনাকেই মেরে দেবে।’ এর আগে গত ২ মে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখার সময় মুনীর বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানে ভারত যেভবে টার্গেট করে করে মানুষ মারছে, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং মহাসচিবকে জানানো হয়েছে।’ (আরও পড়ুন: ৫ দফায় ৩১০ আসন জেতার দাবি শাহের, ‘লক্ষ্যে’ পৌঁছতে কোন অঙ্ক মেলাতে হবে BJP-কে?)

আরও পড়ুন: ‘BJP ৩৭০ আসন না জিতলে…’, শেয়ার বাজার নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

আরও পড়ুন: তীরে এসে ডুবল তরী? ভোট পঞ্চমীতে বাংলার আসনভিত্তিক নির্বাচনী অঙ্ক এল সামনে

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যানালিসিস উইং পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে ২০ জনের মতো পাক জঙ্গিকে খতম করেছে। এদিকে বিগত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান অভিযোগ করে এসেছে, তাদের মাটিতে নাকি একাধিক ব্যক্তিকে খুন করেছে ভারত। এই সব খুন হওয়া ব্যক্তিরা আদতে ভারত বিরোধী জঙ্গি নেতা। দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারত এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছে, বিদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী জঙ্গিদের খতম করতে দিল্লির সরকারই নাকি একাধিক খুনের নির্দেশ দিয়েছে সাম্প্রতিককালে। এই নিয়ে নাকি দ্য গার্ডিয়ানকে বেশ কিছু নথি দেখিয়েছে পাক গোয়েন্দারা। ভারতের গুপ্তচর সংস্থা RAW নাকি এই সব খুনের নেপথ্যে আছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বিদেশে জঙ্গি খুনের নীতি গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। তবে দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিল ভারত সরকার। (আরও পড়ুন: দীর্ঘ কয়েক বছরের মামলা শেষে মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের)

আরও পড়ুন: ‘এটা চাকরিজীবীদের অধিকার’, মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল আদালত

এদিকে গত এপ্রিল মাসেই সরবজিতের হত্যাকারী পাকিস্তানি ডন আমির সরফরাজ তাম্বাকে খুন করা হয়েছিল। এর আগে সম্প্রতি পাকিস্তানে আরও এক ভারত বিরোধী জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। মৃত ওই জঙ্গির নাম শেখ জামিল-উর-রহমান। ইউনাইটে জিহাদ কাউন্সিল এবং তেহরিক-উল-মুজাহিদিন জঙ্গিগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক ছিল এই জামিল। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জামিল রহমানকে জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করেছিল। ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল সে। এর আগে একাধিক ঘটনায় পাকিস্তানের মাটিতে বেশ কয়েকজন ভারতবিরোধী জঙ্গি নেতাকে খুন করা হয়েছিল। এর আগে গতবছরের অক্টোবরে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-জব্বরের প্রতিষ্ঠাতা দাউদ মালিক। গত ২ বছরে পাকিস্তানে প্রায় ২০ জনেরও বেশি ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী নেতাকে খুন করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: আসছে বড় ‘বোনাস’, RBI-র থেকে ১ লাখ কোটি পেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার!)

আরও পড়ুন: ৫ বছরে সর্বনিম্ন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কত টাকা এল ভারতে?

এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের গোড়াতেই পাকিস্তানের মাটিতে খুন হয়েছিল জঙ্গি মুফতি কায়সার ফারুক। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড তথা লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম প্রধান নেতা হাফিজ সৈইদ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। ফারুক হত্যাকাণ্ডের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাদ্রাসায় বাইকে করে এসে ফারুককে খুন করেছিল বন্দুকবাজরা। এছাড়া গত ২০২৩ সালেরই অক্টোবরে পাকিস্তানের শিয়ালকোটে অজ্ঞাত হামলাকারীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গি নেতা শহিদ লতিফের। এই লতিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালে পাঠানকোটে ভারতীয় বিমাবাহিনীক ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল সে। এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল লতিফ। তবে পাকিস্তানে আরামেই দিন কাটছিল তার। এর আগে গত ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর করাচিতে খুন হয়েছিল লস্কর জঙ্গি নেতা মৌলানা জিয়াউর রহমান।