Raj Bhavan Sexual Harassment Latest Update: শ্লীলতাহানি কাণ্ডে থানায় হাজিরা রাজভবন কর্মীদের, বয়ানে বিস্ফোরক দাবি ৩ জনের

রবিবার এড়িয়ে গেলেও রাজভবনের তিন কর্মী মঙ্গলবার হাজিরা দিলেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়। এর আগে অবশ্য ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছিলেন তিনজনেই। উল্লেখ্য, এই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা মহিলাকে আটকে রেখেছিলেন তাঁরা। এই আবহে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার পুলিশের জেরার সামনে পড়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনজনেই। তবে তাঁরা নাকি এই কথা মেনে নেন যে সেই অভিযোগকারী মহিলা তাঁদের কাছে কাঁদতে কাঁদতে এসেছিলেন এবং তিনি দাবি করেছিলেন যে রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। (আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগের মাঝে নয়া বিতর্কে রাজ্যপাল, সামনে বোসের বিস্ফোরক ভিডিয়ো)

আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানি তদন্তের মাঝে শহর ত্যাগ বোসের, সঙ্গী আগাম জামিনে মুক্ত রাজভবন কর্মী

উল্লেখ্য, শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছিল। রাজভবনের বিশেষ সচিব এসএস রাজপুত এবং দুই চুক্তিভিত্তিক কর্মী – কুসুম ছেত্রী ও সন্ত লালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগকারী বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ। পরে সেই তিন কর্মীকে তলব করা হয়েছিল হেয়ার স্ট্রিট থানায়। তাঁদের রবিবার থানায় তলব করা হয়েছিল। তবে তাঁরা সেদিন থানায় হাজির হননি। এই আবহে পরে ফের একবার তাঁদের নোটিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার থানায় হাজির হতে বলেছিল পুলিশ। তবে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ রাজভবনের ৩ কর্মীকে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। পরে মঙ্গলবার রাতে তাঁরা থানায় হাজিরা দেন। পুলিশি জেরার সময় তিন রাজভবন কর্মী জানান, ঘটনার দিন রাজভবনের সেই অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে কাঁদতে দেখেন তাঁরা। কনফারেন্স রুম থেকে তখন তিনি বেরিয়ে আসছিলেন। তখন তাঁরা সেই মহিলাকে তাঁর কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন নাকি সেই মহিলা তাঁদের জানান, রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছেন। আর ঘরের ভিতরে কিছু একটা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ‘জানি না’ বলেও রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকে ‘পারিবারিক বিষয়’ আখ্যা মমতার!)

আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ৩ দিন পর গ্রেফতার ৫, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত

প্রসঙ্গত, মে মাসের ২ তারিখের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। এদিকে অন্য এক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এফআইআর-এ নাম থাকা কুসুম ছেত্রী অভিযোগকারীর ব্যাগ হাতে নিয়ে আছেন। যা থেকে পুলিশ অনুমান করছে যে অভিযোগকারীকে আটকানোর চেষ্টায় সামিল ছিলেন কুমুসও। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সেদিন ওই মহিলা পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে এক সচিবের ঘরে গিয়েছিলেন। পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মিনিট ছিলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর আগে সেই মহিলা রাজভবনের এক সচিব এবং এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এদিকে পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, কোনও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে এই তদন্ত হচ্ছে না। বরং রাজভবনের ভিতরে কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখন রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, রাজভবনের দোতলার অফিস ঘরে জোর করে নিগ্রহ করা, আটকে রেখে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।