Stolen child recovered: কলকাতায় ফুটপাথ থেকে শিশু চুরি, বিক্রির ছক বানচাল পুলিশের, বিহার থেকে হল উদ্ধার

কলকাতায় ফুটপাথ থেকে চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার হল বিহারে। মুচিপাড়া থানার পুলিশ তদন্ত নেমে বিহারের জামুই থেকে শিশুকে উদ্ধার করে। শিশু চুরির অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শিশুকে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল। সেই কারণে তাকে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই শিশু বিক্রির ছক বানচাল করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ২৮ দিনের নাতনিকে বিক্রি করলেন দাদু, গ্রেফতার ৫

ঘটনাটি ঘটেছিল গত রবিবার। ৯ মাসের ওই শিশু কন্যার পরিবার মুচিপাড়া থানা এলাকার সূর্য সেন স্ট্রিটে ফুটপাথে থাকে। অভিযোগ, শিশুটি মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে উঠে মা দেখতে পান শিশু নেই। আশেপাশে খোঁজ খবর নিয়েও শিশুকে পাননি। তখন তিনি মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তদন্তে নামে পুলিশ। 

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজও পুলিশ খতিয়ে দেখে। তাতে মুচিপাড়া থানার পুলিশ এবং লালবাজার গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সোমবার ভোর ৪ টে নাগাদ একজন সাইকেল ভ্যান চালক শিশুটিকে অপহরণ করে। তখন বিভিন্ন জায়গায় ওই ব্যক্তির সন্ধান চালায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত তদন্তকারীরা জানতে পারেন ভ্যান চালকের নাম হল ইন্দ্র দেবদাস। এরপর খোঁজখবর নিয়ে ইন্দ্রদেবকে আটক করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইন্দ্র কলেজ স্ট্রিট মোড় এলাকার বাসিন্দা। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিশ। অবশেষে ইন্দ্র পুলিশি জেরায় শিশু চুরির কথা স্বীকার করে নেয়। 

পুলিশ জানতে পারে ইন্দ্র দেবের আরও দুই সঙ্গী শিশুকে বিক্রি করার জন্য বিহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়েছে। তাদের খোঁজখবর নিয়ে অবশেষে বিহারে রওনা দেয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা। পরে মঙ্গলবার রাতে জামুই থেকে শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও আর একজনকে গ্রেফতার করে। তার নাম হল ননীকিশোর দাস। তবে অন্য অভিযুক্ত এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে। তার খোঁজখবর করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে,  ওই অভিযুক্ত হল ননীকিশোরের ছেলে সুরেশ দাস।

এই ঘটনায় পুলিশের অনুমান অভিযুক্তরা আরও অনেক শিশুকে এভাবে চুরি করে বিক্রি করেছে। সেক্ষেত্রে তারা কতজনকে চুরি করেছে? কাদের কাছে তাদের বিক্রি করা হয়েছে? সেই সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে শিশু চুরির একটি বড় চক্র থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, শিশুকে ১১ হাজার টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা ছিল।