বাংলাদেশ যেন কারবালার প্রান্তর: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজ আবারও ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক হামলা, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশি রায়ে সাজা ও গ্রেফতারের বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ যেন এখন কারবালার প্রান্তর।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সম্প্রতি ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাককে গ্রেফতার, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি ঝলককে শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

রিজভী বলেন, ‘দেশে চলছে এক অর্থনৈতিক নৈরাজ্য। ব্যাংকগুলো টাকার জন্য হাহাকার করছে। ব্যাংক ঋণ বিতরণ করছে আমানতকারীদের অর্থ থেকে। আবার ওই ঋণের অর্থ ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ লুটেরারা ফেরত দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। আবার চরম ডলার সংকটে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছে না।’

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ খ্যাত বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দেওয়া স্যাংশনে সরকারের লোকেরা বিমূঢ় ও স্তম্ভিত হয়ে গেছে। যে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, বিজিবির সবই লিথ্যাল (প্রাণঘাতী) অস্ত্র। কেউ আক্রমণ করলে জীবন বাঁচাতে গুলি করতে পারে। পক্ষান্তরে তিনি আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনও সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে কোনও আধা সামরিক সংগঠনের প্রধান এ ধরনের বক্তব্য রেখেছেন, তা আমাদের জানা নেই। যেকোনও দাবির প্রশ্নে জনগণের উত্তাল আন্দোলনে অংশগ্রহণরত মানুষরা সবসময় ইমিউনিটি অব নন-কমব্যাটেন্ট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ধৈর্যের সঙ্গে সেটি মোকাবিলা করেন, কারণ আন্দোলনকারীরা সবাই নিরস্ত্র। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ছাত্র আন্দোলন তার একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। সেখানে অনেককে গ্রেফতার করা হলেও কাউকে গুলি করা হয়নি।’