ব্যর্থতার কারণ আমার জানা নেই, জানলে তো এই ফল হতো না: সাকিব

হিউস্টনে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একশোতম হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের ভেন্যুতে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে নিয়ে যেন ছেলেখেলায় মেতেছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। দুই ম্যাচেই ছন্নছাড়া ক্রিকেট খেলে দেশের মানুষকে হতাশা উপহার দেওয়া দলটির ক্রিকেটারদের নমনীয় থাকার কথা। কিন্তু শান্ত-সাকিবদের মাঝে সেই সবের বালাই নেই। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে সংবাদ সম্মেলনে কাঠখোট্টা উত্তর দিয়ে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

জিম্বাবুয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র, কেন এই ব্যর্থতা– এর কারণ জানা নেই অভিজ্ঞ সাকিবের। তার উত্তর, ‘এটা তো আমি জানি না। আমি জানলে দলকে বলতাম তাহলে ফলাফল অন্য রকম হতো।’

সিরিজ হার নিয়ে সাকিবের কথা, ‘হারাটা অবশ্যই হতাশার। যেকোনও ম্যাচ হারাটাই হতাশাজনক। কেউই আশা করেনি দুইটা ম্যাচ আমরা হেরে যাব। অবশ্যই হতাশাজনক আমাদের জন্য। কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্র দলকে দিতে হবে তারা যেভাবে খেলেছে।’

আগের ম্যাচের মতো এরই ম্যাচটিতেও ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে যেন মানাতেই পারছেন না তারা। আসলে মূল সমস্যাটা কোথায়? সাকিবের কাঠখোট্টা উত্তর, ‘আমি বলতে পারবো না। এটার জবাব আমার কাছে নেই।’

সাকিব মনে করেন বিশ্বকাপের আগে তাদের সামনে সুযোগ হতাশাজনক পারফরম্যান্স কাটিয়ে ওঠার, ‘এখানে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি। এটি আমাদের জন্য জেগে উঠার ডাক হতে পারে। কারণ আমরা যেভাবে চেয়েছি সেভাবে খেলতে পারিনি।’

র‌্যাংকিংয়ে ১৯ নম্বর দল যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ নম্বরে। শুধু কাগজে-কলমেই নয়, শক্তিমত্তার বিচারে যোজনে যোজনে এগিয়ে থাকার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে দেখা গেলো উল্টো চিত্র। তাহলে কি স্বাগতিকদের হালকাভাবে নিয়েছে বাংলাদেশ? সাকিবের উত্তর, ‘আপনি তা বলতে পারেন, তবে আমার মনে হয় না। প্রথম ম্যাচে হয়তো আমরা যা চেয়েছি তা করতে পারিনি। পরের ম্যাচেও তা হলো। আমরা আমাদের প্ল্যান কাজে লাগাতে পারিনি। আমার মনে হয়নি পিচ অত খারাপ ছিল। আমরা ভালো ব্যাট করিনি। আমাদের আরও ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল।’

এমন পারফরম্যান্সের প্রভাব বিশ্বকাপে পড়তে পারে কিনা? এর উত্তরে সাকিবের সেই পরিচিত জবাব,‘অবশ্যই পড়তে পারে, আবার নাও পড়তে পারে।’

প্রসঙ্গত, ২০ ওভারের ক্রিকেটে ১৬৮টি ম্যাচ খেলে ১০০টিতে হারা বাংলাদেশের ৪টি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। বাকি ৬৪ ম্যাচে এসেছে জয়। তালিকায় দুইয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৩টি ম্যাচ খেলে ৯৯টিতে হেরেছে। ৯৮ হার নিয়ে তিনে শ্রীলঙ্কা ও ৩৫ হার নিয়ে চারে আছে জিম্বাবুয়ে। ৯০টী ম্যাচ হেরেছে পাঁচে  থাকা নিউ জিল্যান্ড।