রাজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে হায়দরাবাদ

আইপিএলের শুরুতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম কোয়ালিফায়ারের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে হায়দরাবাদ। 

চেন্নাইয়ের চেপুকে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আইনরিখ ক্লাসেনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ১৭৫ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে ৭ উইকেটে ১৩৯ রানে থামে রাজস্থান। আগামী রবিবার এই ভেন্যুতেই হবে শিরোপার লড়াই।

পাওয়ার প্লেতে হায়দরাবাদ তিন উইকেট হারালেও ৬৮ রান তোলে স্কোরবোর্ডে। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে অভিষেক শর্মাকে ফেরানোর পর পঞ্চম ওভারে রাহুল ত্রিপাঠী ও এইডেন মারক্রামকে আউট করেন ট্রেন্ট বোল্ট। মূলত রাহুলের ১৫ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ রানের সৌজন্যে পাওয়ার প্লেতে স্বস্তিকর রান তোলে হায়দরাবাদ। 

ট্র্যাভিস হেড সতর্ক ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার শেষে ৯৯ রান করে হায়দরাবাদ। ২৮ বলে ৩৪ রান করে দশম ওভারে বিদায় নেন তিনি। ১৪তম ওভারে আবেশ খান জোড়া আঘাত করলেও ক্লাসেন চার ছক্কায় ৩৪ বলে ৫০ রান করে দলকে ভালো অবস্থানে নিতে ভূমিকা রাখেন। শেষ দিকে শাহবাজ ১৮ বলে ১৮ রান করে দলীয় স্কোর ১৭০-এ নেন। আবেশের তৃতীয় শিকার হন তিনি। 

বোল্ট ও আবেশ দুজনেই তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন।

লক্ষ্যে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও ধ্রুব জুরেলের ব্যাটে চড়ে লড়াই চালিয়ে যায় রাজস্থান। ১১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ছিল ৭৯ রান। তখনও জয়ের আশা ছিল। কিন্তু ১২তম ওভারে রিয়ান পরাগ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ফিরিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন শাহবাজ। আর পেরে ওঠেনি রাজস্থান। জুরেলের একার লড়াই যথেষ্ট হয়নি। ৩৫ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করা জয়সওয়ালও শাহবাজের শিকার হন।

৪ ওভারে ২৩ রানে তিন উইকেট নেন শাহবাজ। ব্যাটিংয়েও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।

আরেক স্পিনার অভিষেক শর্মা সাঞ্জু স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ারকে ফিরিয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন।