Insufficient sleeping: রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব? বাড়তে পারে ডায়বেটিস, কী জানাচ্ছে গবেষণা

ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সঠিক জীবনযাত্রা ও খাদ্যভাসের অভাবে ধীরে ধীরে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। আবার অপর্যাপ্ত ঘুম থেকেও বাড়তে পারে ডায়বেটিস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ঘুমের পরিমাণ ঠিকঠাক  থাকলে নিয়ন্ত্রনে আসতে পারে ডায়বেটিস অনেকটাই। ব্রিটেনের বায়োব্যাংকে থাকা প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় নানা তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে দেখা যায়, যারা দৈনিক গড়ে ৬ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমান, তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

আরও নির্দিষ্ট করে বললে এই গবেষণায় দেখা গেছে, যারা গড়ে ৫ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাকিদের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। আর যারা গড়ে প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি।বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ঘুম কম হলে আমাদের শরীরের এমন কিছু হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে যা কি না ইনসুলিনের কাজে বাধা দিতে পারে।

ফলে খাবার পরও পর্যাপ্ত ইনসুলিন নিঃসরণ হয় না, তাই শর্করা ঠিকঠাক ব্যবহৃতও হয় না। অতিরিক্ত শর্করা রক্তে থেকে যেতে থাকলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। আবার নিয়মিত শরীরচর্চা ও সঠিক খাওয়াদাওয়া না করলেও ঘুমের অভাব টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ে।

চিকিৎসকদের অনেকে মনে করেন, এক্ষেত্রে কে কখন ঘুমোতে যাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের মতে, রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া সবচেয়ে ভালো। তবে নিয়মিত যদি ঘুমমাতে ঘুমাতে রাত ১টা থেকে ৩টা বাজে তাতেও  এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

শুধু টাইপ ২ ডায়াবেটিস নয়, এই ধরনের জীবনযাপন হার্টের রোগ ও হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাও বাড়াতে পারে। অর্থাৎ ডায়াবেটিস তো বটেই, হার্ট , হাইপারটেনশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলেও প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।