Mango Salad Recipe: একবার টেস্ট করে দেখুন আমের এই স্যালাড! বছর বছর আমের মরশুমের অপেক্ষায় থাকবেন

আমের মরসুম শুরু হয়েছে! তাপমাত্রা যত বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, মিষ্টি খাবার, চাটনি বা পানীয়, প্রতিটি খাবারেই আম ততই অপরিহার্য। আম গ্রীষ্মের সমার্থক হলেও গরমের সময় আরও একটি খাবারের কথা মনে আসে – সালাদ। তাহলে, এই দু’টিকে মিশিয়ে কোনও রেসিপি বানালে মন্দ তো হয় না! এটি সতেজ, টেঞ্জি, মিষ্টি এবং কুড়কুড়ে স্বাদ দেবে। সুতরাং, আপনি আপনার ডায়েটের সালাদের স্বাদটা যদি একটু বদলে নিতে চান। তাহলে এই আমের সালাদ স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য নিখুঁত সংযোজন হবে।

আমের সালাদ (রেসিপি: শেফ সরব কাপুর):

১) ৯০০ গ্রাম (৩টে) থাই গ্রিন আম – খোসা ছাড়ানো এবং সরু সরু করে কাটা

২) এক টেবিল চামচ পাম সুগার

৩) ১/২ টেবিল চামচ তেঁতুল

৪) দুই টেবিল চামচ চিনা বাদাম- ভেজে নিন

৫) ৪ মরিচ

৬) একটি ছোট টমেটো – টুকরো করে কাটা

৭) ১/২ টেবিল চামচ লবণ

৮) এক টেবিল চামচ পুদিনা পাতা – কেটে রাখা

৯) সালাদ সাজানোর জন্য ধনে পাতা

১. পাম সুগার এবং তেঁতুল মিশিয়ে সালাদ বানানো শুরু করুন। খোসা ছাড়ানো এবং কাটা আমে চিনি এবং তেঁতুলের মিশ্রণ যোগ করুন।

২. এই আমের মিশ্রণে মরিচ, চিনাবাদাম, টমেটো, পুদিনা পাতা এবং লবণ যোগ করুন।

৩. আমের স্বাদ অনুযায়ী সিজনিং সামঞ্জস্য করুন। ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে নিন। ব্যস, এইভাবেই সালাদ তৈরি।

ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত, আম শুধুমাত্র নিজেরাই সুস্বাদু নয়, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আম খাওয়ার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। আম শরীরে গিয়ে ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, ত্বকের ছিদ্র দূর করে এবং একটি উজ্জ্বলতা আনে। উপরন্তু, ভিটামিন সি উপাদান কোলাজেন নামক ত্বকের প্রোটিন তৈরি করতেও সাহায্য করে।

  • আম খাওয়ার অন্যান্য উপকারিতা

১) চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করা: আম বিটা-ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ উন্নত দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য এবং বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

২) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আমের মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গিফেরিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ম্যাঙ্গিফেরিন কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

৩) হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: আম পটাসিয়ামের একটি ভাল উৎস, হৃদরোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। পটাসিয়াম রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে।

৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আম ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।