Mission Sevak Bhawan: মিশনের সেই সেবক ভবনে শিলিগুড়ির মেয়র, মিউটেশনের নথি তুলে দিলেন মহারাজের হাতে

সম্প্রতি শিলিগুড়ির শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের আবাসন সেবক ভবনে হামলার ঘটনা হয়। সেই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও এখনও আতঙ্কের রেশ কাটেনি শিলিগুড়ির সেবক রোডের রামকৃষ্ণ মিশন শাখার মহারাজদের। এখনও তাঁরা রাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে রামকৃষ্ণ মিশনের এক মহারাজ জানান। এরই মধ্যে শুক্রবার রামকৃষ্ণ মিশনের নামে আবেদন করা জমির মিউটেশনের নথি তুলে দিতে সেবক ভবনে হাজির হন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।

এদিন মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ মেয়র পারিষদরা। মিশনের তরফ থেকে মিউটেশনের ফি ও ট্যাক্স বাবদ চেক জমা দেওয়া হয় শিলিগুড়ি পুরনিগমের কাছে। তার বদলে রামকৃষ্ণ মিশনের নামে মিউটেশনের নথি তুলে দেন খোদ মেয়র গৌতম দেব।

উল্লেখ্য শিলিগুড়ির সেবক রোড এলাকায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের আবাসন সেবক ভবনে ১৯ তারিখ গভীর রাতে স্থানীয় জমি মাফিয়া প্রদীপ রায় ও তার দলবল হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় আবাসনে। পাশাপাশি সন্ন্যাসীদেরও অপহরণ করারও অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও অনেকটা দূরে নিয়ে গিয়ে নির্জন জায়গায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৯ তারিখই ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে। কিন্তু অভিযোগের পরই আবাসনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশ মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারলেও এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। যদিও রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিকদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও, পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ধারা লাগু করেনি।  তাই নিয়েও পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিকদের এই আবাসন সহ জমির মালিক অভিযুক্ত প্রদীপ রায় পুলিশের কাছে নিজের বলে দাবি জানায়। যদিও তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে ও প্রমাণ হয় যে এই আশ্রমটির মালিক কোনোভাবেই প্রদীপ রায় নয়। এটা রামকৃষ্ণ মিশনেরই। ফলে এরপরই এই আবাসনটির তালা খুলে  রামকৃষ্ণ মিশনকে হস্তান্তর করে পুলিশ। 

শুক্রবার  জমির মিউটেশনের নথি তুলে দিলেন মেয়র গৌতম দেব। পরে তিনি বলেন, ‘ওনারা জমি মিউটেশনের জন্য কয়েকদিন আগে আবেদন করেছিলেন। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন শ্রদ্ধাবনতচিত্তে ওনাদের হাতে মিউটেশনের কাগজ তুলে দিতে। সেই মতো আমি মিউটেশনে কাগজ দিতে এসেছিলাম।’ রামকৃষ্ণ মিশন কতৃপক্ষ আশাবাদী পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর কোনোদিন না ঘটে।