ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুর থেকে মুষলধারে বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়া বইছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। ইতোমধ্যে নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করছে স্থানীয় প্রশাসন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এরইমধ্যে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবলায় শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভা থেকে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৪টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মাঠে কাজ কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের অর্ধ-লক্ষাধিক বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে, মানুষকে সতর্ক করতে শনিবার সকাল‌ থেকে উপকূলে চলছে কোস্টগার্ড ও সিপিপির সতর্কতামূলক প্রচারণা। পাশাপাশি মাছ ধরা সকল নৌকা ও ট্রলারকে সাগর মোহনা থেকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে তারা।