আমফানের দাপট দেখেছে এই শহর। এবার ধেয়ে আসছে রেমাল। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক তো হবেই। এদিকে ঝড়ের একটা বড় প্রভাব পড়ে রেল যোগাযোগ ব্য়বস্থায়। তার দুটো বড় কারণ হল ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়া। আর দ্বিতীয়ত সবথেকে বড় সমস্যা হয় যখন প্রবল বৃষ্টির জেরে রেললাইনে জল জমে যায়। তখনই সবথেকে বড় সমস্যা হয়। তবে এবার রেমাল আসার আগে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল।
একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রেলের তরফে।
১) ২৫শে মে সকাল ৮টা থেকে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে ২৭ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত। ২৪ ঘণ্টা এই রুম থেকে নজরদারি চালানো হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল, এসএন্ডটি বিভাগ, নিরাপত্তা ও পরিচালনা বিভাগের কর্মকর্তারা এই কন্ট্রোল রুমে থাকবেন। ২৪ ঘণ্টা তাঁরা এই কন্ট্রোল রুমে থাকবেন। কোথাও লাইনে বা ওভারহেড তারে সমস্যা হচ্ছে কি না, কোথাও রেল চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে কি না সেটা কন্ট্রোল রুম থেকে নজর করা হবে।
২) পূর্ব রেলের সমস্ত বিভাগ থেকে হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদা ও আসানসোলের ক্ষেত্রে ঝড় সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
৩) একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রবল ঝড়ে প্লাটফর্মের শেড উড়ে যায়। এদিকে প্লাটফর্মের ছাউনি উড়ে গেলে যাত্রীরাও আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই ছাউনিগুলি শক্তপোক্ত রয়েছে কি না, ঝড় প্রতিরোধের মতো উপযুক্ত শক্তি এগুলির রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। কারণ প্লাটফর্মের শেড শক্তপোক্ত না হলে সমস্যা হতে পারে।
৪) স্টেশনের বাইরে ও ভেতরে একাধিক বিরাট হোর্ডিং থাকে। বিজ্ঞাপনের দেওয়ার জন্য় সেগুলি ব্যবহার করা হয়। সেই বিজ্ঞাপনের বোর্ডগুলি সব শক্তপোক্ত রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। কারণ এই বোর্ডগুলি পড়ে গেলে বিরাট বিপত্তি হয়ে যেতে পারে।
৫) কখন ও কোন পরিস্থিতিতে ট্রেন চালানো হবে সেটা ডিআরএমের মাধ্য়মে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করা হবে।
৬) তবে ঝড়ের দাপট শুরু হলে ট্রেনগুলিকে সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতে পারে। কারণ মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়লে আখেরে সমস্যায় পড়তে পারেন যাত্রীরা। সেকারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৭) আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করবে রেল। ঝড়ের গতি প্রকৃতির উপর খেয়াল রাখতে হবে।