ইউপি কুপিয়ে আহত করা যুবক গণপিটুনিতে নিহত

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নে ওমর ফারুক পাটোয়ারী (৪৫) নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে এক যুবক। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত যুবক আহাদ আহমেদ হাম্বাকে (২০) গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

রবিবার (২৬ মে) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওমর ফারুক পাটোয়ারী নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। নিহত আহাদ আহমেদ হাম্বা একই ওয়ার্ডের আকবর পাটোয়ারী বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহাদ আহমেদ হাম্বা এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিভিন্ন সময় সে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করতো। গত রমজানে এসব বিষয়ে এলাকার লোকজন মেম্বারের কাছে অভিযোগ দিলে সালিশের মাধ্যমে তাকে সর্তক করেন মেম্বার।

স্থানীয়দের ধারণা এসব বিষয় নিয়ে মেম্বার ফারুকের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন আহাদ। এর জেরে রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বড় একটি ধারালো কিরিচ নিয়ে মেম্বারের বাড়িতে আসেন। এ সময় মেম্বারের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নাম ধরে ডাক দিলে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে ধারালো কিরিচ দিয়ে মেম্বার ফারুককে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় মেম্বারকে বাঁচাতে এলে তার ভাগিনা সালেহ আহমেদ খানকে (২৪) কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান আহাদ। পরিবারের লোকজন মেম্বার ও তার ভাগিনাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পরে মেম্বারকে কুপিয়ে জখমের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন গিয়ে আহাদের বাড়ি ঘেরাও করেন। এ সময় বাড়িতে থাকা আহাদ কিরিচ নিয়ে উপস্থিত লোকজনকে হুমকি দিলে উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে মারা যান।

চাটখিল থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে মেম্বারকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হবে।