Bangladesh Remal: এগিয়ে আসছে রেমাল ঘূর্ণিঝড়, কলকাতায় ঝেঁপে বৃষ্টি, বাংলাদেশের কী পরিস্থিতি?

রেমাল শুধু বাংলায় নয়। বাংলাদেশেও বড় প্রভাব পড়তে পারে রেমালের। সাইক্লোন রেমালের জেরে বাংলাদেশের প্রচুর বাসিন্দাকে সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ল্যান্ডফলের সময় অন্তত ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। 

জিনহুয়া নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট বলছে, রবিবার মাঝরাতেই এই ঝড় বাংলাদেশের উপকূল পেরিয়ে যাবে। এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ রবিবার সতর্কবার্তা দিয়েছে যে বন্যা, ধস ও ঝড়ের সতর্কবার্তা রয়েছে। 

দেশের উপকূলবর্তী জেলা ও সমুদ্রবন্দরগুলিতে বিপদ সংকেত ১০ জারি করা রয়েছে। মাঝ ধরার নৌকা, ট্রলার, মাঝ ধরার জাহাজগুলিকে আপাতত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদেরকে নির্দিষ্ট জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী মহম্মদ মহিবুর রহমান সংবাদ সংস্থা জিনহুয়াকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দশটি জেলার অন্তত ৮০০,০০০ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখা হয়েছে। 

তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নেভি, উপকূলরক্ষী বাহিনী, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, রাজনৈতিক দলগুলি এই সংকটের সময় পাশে রয়েছে। টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী নীচু এলাকাগুলিতে জল জমতে শুরু করেছে। 

খুলনার নীচু এলাকাগুলিতে  জল জমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের জলপথ পরিবহণ দফতর সমস্ত জলপথ পরিবহণ আপাতত স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছে। চট্টগ্রাম সিপোর্ট  কর্তৃপক্ষ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। 

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আপাতত সমস্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দিয়েছে। রবিবার বিকাল থেকে তারা বিমান ওঠানামা ৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

রেমাল আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত। ঝোড়ো হাওয়ার জেরে রবিবার সন্ধ্য়ায় নাগেরবাজার এলাকায় একটি গাছ ভেঙে পড়ে। এদিকে কলকাতায় ঝড়ের প্রভাবে গাছ পড়লে, বাতিস্তম্ভ পড়লে তা মোকাবিলার জন্য কী ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে কলকাতা পুরসভায়। রেমালের ল্যান্ডফলের সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভায় থাকতে পারেন বলে খবর।

কলকাতার মেয়র এদিন বড় আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাতে যতক্ষণ পর্যন্ত শহর থেকে এই বিপর্যয় সরে না যায় ততক্ষণ আমরা সকলেই আছি কলকাতা পুরসভায়। আগামী কাল সকালে কলকাতার অনেকটা জায়গা জলমগ্ন থাকবে। হয়তো একটু সময় দিলে এগারোটার পর সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কলকাতাবাসীকে বলব, বাড়িতে থাকুন। বিপজ্জনক বাড়িতে থাকলে আমাদের ক্যাম্পে আসুন, নিজেকে রক্ষা করুন। কলকাতা পুরসভা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের জন্য এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।