Remal Cyclone: কেন মে মাসেই আছড়ে পরে ঘূর্ণিঝড়? ইয়াস, আয়লা, রেমাল এই মাসেই ওরা কেন আসে?

কেন বার বার এই মে মাসেই আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় আগে যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় এসেছিল তার ইতিহাস কিন্তু বলছে সিংহভাগ ক্ষেত্রে মে মাসেই এসেছে ঘূর্ণিঝড়। 

এবার আগের ঝড়ের কিছু দিনক্ষণ জেনে নেওয়া যাক। 

২০০৯ সালের ২৫শে মে আয়লা এসেছিল বাংলায়। ২০১৯ সালে এসেছিল ফণি। আমফান এসেছিল এই মে মাসেই। আবার এই ২৬শে মে এসেছিল ইয়াস। একের পর এক ঝড়। আর সবটাই এই মে মাসে। 

এবার এসেছে রেমাল। সেই ২৬শে মে। মধ্য়রাতে আসছে রেমাল। গোটা বাংলা যেন প্রহর গুনছে। একের পর এক ট্রেন বিমান, ফেরি বন্ধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় চরম সতর্করা। ফুঁসছে নদী , সমুদ্র। 

কিন্তু মে মাসে কেন ঘূর্ণিঝড় আসে? 

আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্ষা আসার আগে ও বর্ষা আসার পরে ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশ অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা থাকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এই জোড়া অনুকূল পরিস্থিতির জেরে নিম্নচাপ দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

এনিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ সোমনাথ দত্ত আগেই জানিয়েছিলেন, লো প্রেশার বা নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে বলা হয় সাইক্লোজেনেসিস। আর এই সাইক্লোজেনেসিস তৈরি হওয়ার পেছনে কতকগুলি অনুকূল পরিস্থিতি থাকে। যার অন্যতম হল ওয়ার্ম সি সারফেস টেম্পারেচার। অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল, মে অর্থাৎ গরমকালে সি সারফেস টেম্পারেচার বা সমুদ্রের জলের উপরের যে তাপমাত্রা তা অনেকটাই বেশি থাকে। জলের প্রায় ৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত এই তাপমাত্রা থাকে। মূলত সেই কারণেই মার্চ, এপ্রিল, মে বা বাংলার কোথাও কোথাও জুন মাসেও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। তবে বর্ষা চলে আসার পরে পরিস্থিতি এমনটা থাকে না। 

এদিকে রেমাল ঝড়ের আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বিভিন্ন ফেরী চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সন্দেশখালি যাওয়ার ফেরিও এদিন বিকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

রেমাল ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। দুপুর থেকেই কলকাতায় বৃষ্টি চলছে। অন্যদিকে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সুন্দরবনের যে দ্বীপগুলি রয়েছে সেখানকার মানুষজনও আতঙ্কিত। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্য়েই ময়দানে নেমে পড়েছে এনডিআরএফের টিম। বিপন্ন মানুষের পাশে বরাবরের মতো এবারও রয়েছে এনডিআরএফ।

এনডিআরএফের ইস্টার্ন রিজিয়নের কমান্ডার গুরমিন্দর সিং জানিয়েছেন, আজ মধ্য়রাতে রেমাল ঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে। আইএমডির সতর্কবার্তা অনুসারে ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১২০-১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এখনও পর্যন্ত ১৪টি এনডিআরএফ টিমকে মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।