Cyclone Remal: সাত সকালে পথে রাজ্যপাল, টাস্ক ফোর্স নিয়ে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন

ঘুর্ণিঝড়় রেমালের প্রভাবে কতটা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, তা অনুমান করতে টাস্ক ফোর্স নিয়ে রেমাল আক্রান্ত কিছু এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের একটি টাস্ক ফোর্স পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ফিরে এসেছে। 

রাজ্যপাল এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘রাজভবনের টাস্ক ফোর্স এই মাত্রই বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন থেকে ফিরে এসেছে। আমরা সবাই স্বস্তি পেয়েছি যে কোনও হতাহতের খবর নেই। রেমাল ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে আসছে এবং বাংলার মানুষ সাহসিকতা ও সহনশীলতার সঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। আমরা সতর্ক রয়েছি, যদি কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয়। রাজভবনের টাস্ক ফোর্স প্রস্তুত রয়েছে… আমি পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র জনগণকে তাদের সংহতি প্রদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

আরও পড়ুন। KKR-র ম্যাচ দেখতে গিয়েছিল ছেলে, আনতে গিয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের, সকালে ব্যাহত মেট্রো

রবিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জনসাধারণের জন্য রাজভবন রাতভর খোলা রাখা হচ্ছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও রাজভবনে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারেন।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল, তবে মানুষের তৎপরতা ও সরকারি ব্যবস্থাপনার কারণে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। রাজভবনের তরফ থেকে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। এই টাস্ক ফোর্সে দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন। কলকাতায় ১৪০ মিমি বৃষ্টি, ৯১ কিমিতে ঝড় দমদমে- কোথায় কতটা তাণ্ডব চালাল ঘূর্ণিঝড়?

রাজ্যপাল আরও উল্লেখ করেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড় রেমালের গতিবিধি নজরে রাখছি এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত রয়েছি।’ রাজভবনের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের জনগণের সাহসিকতা ও সহনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়।’

রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি যৌথভাবে কাজ করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ সাহায্য কেন্দ্র বা রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে রাজভবনেরও কয়েকটি গাছ পড়ে যায়। দ্রুত সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যপাল নিজে দাঁড়িয়ে গাছ কাটার তদারকি করেন। 

আরও পড়ুন। এখনও বইছে ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি, দাপট রেমালের