Arvind Kejriwal: ২ তারিখের পরেও বাইরে থাকতে দিন, কেজরির আবেদন গেল প্রধান বিচারপতির কাছে

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে শুনানি শুনতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করার জন্য় আবেদন করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে আরও এক সপ্তাহ এই অন্তর্বর্তী জামিনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার জন্য় আবেদন করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই জরুরী শুনানির আবেদন মানতে চায়নি। দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনে প্রচারের জন্য আপ সুপ্রিমোকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ১ জুন পর্যন্ত তিনি বাইরে থাকবেন। এরপর ২রা জুনের মধ্য়ে তাঁকে তিহাড় জেলে ফিরে আসতে হবে। কিন্তু সেই সময়সীমাটা বৃদ্ধির জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। 

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চ জানিয়েছে তারা তাঁর আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেবেন। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কবে এই বিষয়টি শুনানির জন্য় হাজির করা হবে। 

বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন কবে এই আবেদনের শুনানি হবে। 

এদিকে গত ১৭ মে শেষবার শুনানি হয়েছিল। কেজরিওয়াল তাঁর গ্রেফতারির বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এদিকে বুধবারই কেজরিওয়াল চেয়েছিলেন যাতে জরুরী ভিত্তিতে শুনানি করা হয়। এদিকে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহেই তো বলতে পারতেন। সেটা কেন বললেন না। 

এদিকে এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে কেজরিওয়ালকে ২রা জুনের মধ্য়ে ফিরে আসতেই হবে। এদিকে এর আগে কেজরিওয়ালের অ্য়াডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছিলেন যাতে কেজরিওয়ালের আবেদনের দ্রুত শুনানি হয়। 

এদিকে এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন কেজরিওয়াল। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, 

আপনি বলছেন যে আপনি জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এবারের ফলাফল ভিন্ন হবে বলে আপনি কী মনে করেন?

তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন,  এবার নির্বাচন লড়া হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে নয়, লড়া হচ্ছে স্থানীয় ফ্যাক্টরের বিরুদ্ধে, দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচন খুব স্থানীয় হয়ে গেছে, এবং তাই এবার প্রতিটি রাজ্যে এটি একটি ভিন্ন নির্বাচন। মানুষ সংসার চালাতে পারছেন না, ফি দিতে পারছে না, মুদিখানার জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। মানুষ অভিযোগ করছে যে তারা মোদীজিকে এর সমাধান দিতে শোনেনি বা তিনি কীভাবে বেকারত্ব দূর করবেন তা নিয়ে তাঁর কোনও ভাষণে কথা বলেননি। তিনি কী নিয়ে কথা বলছেন? তিনি বলছেন, ‘শরদ পাওয়ার ভট্টি আত্মা’, উদ্ধব ঠাকরে তার পিতার আসল পুত্র নন, ক্ষমতায় এলে ইন্ডিয়া ব্লক সবার মঙ্গলসূত্র চুরি করবে। এই বক্তব্য কি একজন প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য? জনগণ তার কাছ থেকে সমাধান চায়, যা তারা পাচ্ছে না। মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী যেন একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের জগতে আছেন।