Egypt Richest King: প্রকাশ্যে ৩৪০০ বছরের পুরনো রাজার মুখ! তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি

১৪ শতকের মিশরীয় রাজার মমি ব্যবহার করে, অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তৈরি করা হয়েছে ৩৪০০ বছরের পুরনো ওই মিশরীয় রাজা আমেনহোটেপ তৃতীয়ের মুখ। নিউইয়র্ক পোস্ট অনুসারে, গত ৩৪০০ বছরে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আমেনহোটেপের মুখ পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেনহোটেপ ১৪ শতকে খুব শক্তিশালী রাজা ছিলেন। মিশরে তাঁকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হতো। এই রাজার নেতৃত্বে মিশর শুধু বিকশিতই হয়নি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরাশক্তি হিসেবেও নিজের জায়গা করেছে।

নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে আরও বলা হয়েছে যে, আমেনহোটেপ তৃতীয়ের মুখ তৈরির জন্য বিজ্ঞানীরা মমির মাথা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ব্রাজিলিয়ান গ্রাফিক্স ডিজাইনাররাও এই দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। রাজার মমি খতিয়ে দেখে অস্ট্রেলিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক জানিয়েছেন, আমেনহোটেপের মমি দেখে অনুমান করা যায় যে এটি সোনা দিয়ে প্রলেপ দেওয়া ছিল। এর মাধ্যমে মমিটিকে ঈশ্বরের মূর্তি হিসেবে রেখেছিলেন বাসিন্দারা।

  • এত পুরনো মমি কীভাবে খোলা হয়েছিল

১৮৮১ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল আমেনহোটেপের এই মমিটি।২০২১ সালে বিজ্ঞানীরা রাজার মমি থ্রিডি স্ক্যানিং করে খুলেছিলেন। এর মানে, বিজ্ঞানীরা কম্পিউটারের সাহায্যে থ্রিডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মমির দেহাবশেষ পরীক্ষা করেছিলেন। এ সময় রাজার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্যও পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে, অত্যন্ত পুরনো হওয়ায় এই মমিটি এতটাই সূক্ষ্ম হয়ে গিয়েছে যে শতাব্দীর পরও বিজ্ঞানীরা এটিকে পুরোপুরি খোলার সাহস পাননি। তাই এখন আমেনহোটেপের মমিটি পুরনো নিয়ম মেনেই ফুলের মালা এবং একটি কাঠের মুখোশে সজ্জিত রয়েছে।

  • আদতে কেমন দেখতে ছিলেন আমেনহোটেপ তৃতীয়

বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট করেছেন যে আমেনহোটেপ তৃতীয় একজন স্থূল এবং অসুস্থ মানুষ ছিলেন। তাঁর মাথায় চুল ছিল না এবং দাঁতের সমস্যাও ছিল। আমেনহোটেপের মমি নিয়ে গবেষণায় জানা গিয়েছে যে তাঁর উচ্চতা প্রায় ১৫৬ সেমি অর্থাৎ ৫ ফুট ১ ইঞ্চি হবে। সেই সময়ের সবচেয়ে ছোট রাজা ছিলেন আমেনহোটেপ। ১৩৫২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন আমেনহোটেপ।

  • বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন এই রাজা

আমেনহোটেপ নিজেকে মিশরীয় রাজা তুতানখামুনের পিতামহ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি মিশরের ১৮ তম রাজবংশী ছিলেন। শাসনামলে মধ্যপ্রাচ্যে অনেক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন তিনি। মিশরের সূর্য ও বায়ুর দেবতা আমুনকে আমেনহোটেপ নিজের পিতা বলে দাবি করেছিলেন। এই রাজার কূটনৈতিক চিঠিপত্র থেকেই অনুমান করা গিয়েছে যে তাঁর প্রচুর সম্পদ ছিল।