Private tuition: সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ৮ সপ্তাহ সময় দিল হাইকোর্ট

স্কুল শিক্ষকরা যে প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ আগেই ছিল। তবে অভিযোগ উঠছে, এখনও স্কুল শিক্ষকরা জেলায় জেলায় প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে একটি আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। সেই মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। 

আরও পড়ুন: ১২৪ কিমি যাতায়াত করতে হয়! ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকাকে বাড়ির কাছে বদলির নির্দেশ

নিষেধাজ্ঞার পরেও সরকারি শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন বলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি আদালত অবমাননার মামলা করে গৃহ শিক্ষকদের সংগঠন গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। সেই মামলায় তাদের আইনজীবী এক্রামুল বারি অভিযোগ তোলেন, হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন। তবে তা বন্ধ করার জন্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে কোথাও সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করার তথ্য নেই। 

উল্লেখ্য, সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের কর্মরত শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন আগেই অবৈধ বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের নিয়ম রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, পর্ষদের আওতাভুক্ত সরকারি স্কুল বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা নিজের বাড়িতে বা কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না। সরকারের নির্দেশিকা না মেনে কেউ প্রাইভেট টিউশন করালে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু, তারপরেও নির্দেশ অমান্য করে অনেকে প্রাইভেট টিউশন পড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

প্রাইভেট টিউশন বন্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল প্রাইভেট গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। তারা আদালতে দাবি করেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রুল জারি করে সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষক পড়ুয়াদের পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টিউশন পড়াতে বাধ্য করছেন। এটা অপরাধ বলে আদালতে দাবি করেন তাঁরা। এরপর আদালত মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল গত বছরের মে মাসে।  

আইনজীবী অভিযোগ করেন, স্কুল শিক্ষকদের গৃহ শিক্ষকতা করানো নিয়ে যেসব জেলার তথ্য দেওয়া হয়েছিল সেগুলি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ডিআরআইদের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য স্কুলের শিক্ষকের কাছে বহু ক্ষেত্রে টিউশন পড়তে বাধ্য হচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৮ সালে শিক্ষকদের জন্য যে বিধি তৈরি হয়েছে সেই অনুযায়ী, সরকারি শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না। ফলে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।