কাঞ্চনজঙ্ঘায় ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু বালির ব্যক্তির, সান্দাকুফেতে গিয়ে মৃত আরও ১

দুটি আলাদা ট্রেকিংয়ে মৃত্যু হল দুই বাঙালির। কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দেবব্রত বর (৪৬) নামে এক ব্যক্তি। অন্যদিকে, সান্দাকফুতে গিয়ে তন্ময় কুণ্ডু (২৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। জানা যায়, দেবব্রত পাহাড়ের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু, নামার সময় আর সঙ্গ দেয়নি শরীর। শ্বাসকষ্টের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি হাওড়ার বালির বাসিন্দা। বেসক্যাম্পে পৌঁছনোর আগেই তিনি মারা যান। অন্যদিকে, সান্দাকফুতে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত যুবক উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। এই ঘটনায় দুজনের পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। 

আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা! মৃত্যু কসবার মহিলার

হাওড়ার বালির সমবায়পল্লির বাসিন্দা দেবব্রত বর। ট্রেকিংয়ের জন্য গত ১৭ মে দেবব্রত বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ১১ সদস্যের দলের সঙ্গে তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্প গোয়েচালায় পৌঁছেছিলেন। ১৯ মে ভিডিয়ো কলে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল তাঁর। পাহাড়ে যে গন্তব্য নির্দিষ্ট করা ছিল, তা তিনি ছুঁয়েও ফেলেছিলেন। কিন্তু, নামার পথেই ঘটে বিপত্তি। গত ২৫ মে ট্রেকিং করে নীচে নামার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু, চিকিৎসার জন্য নীচে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী এবং সন্তান। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর আয়েই চলত সংসার। কিন্তু, এভাবে দেবব্রতর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবার।

অন্যদিকে, তন্ময় সান্দাকফু ঘুরতে গিয়েছিলেন গত ২৪ মে। তাঁর সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন বন্ধু। তাঁরা টুমলিংয়ে রাত কাটিয়ে সান্দাকফু পৌঁছান। পরিকল্পনা ছিল, ২৭ মে তাঁরা ফিরবেন। কিন্তু, ফেরার দিন দেখা দেয় সমস্যা। প্রথমে পেট ব্যথা করতে শুরু করে তন্ময়ের। তাঁর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন এক চিকিৎসক তানেক দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করতে বলেন। সেই মতো বন্ধুরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। 

ঠিক কী কারণে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তা জানার জন্য দেহের ময়নাতদন্ত হবে। এদিনের, ঘটনায় চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এটি বাংলার অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও এখানে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।