মদের সঙ্গে আমিষ পদ খাওয়ার পরে বমি, বাগদানের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে মৃত ৪, অসুস্থ ৩২

মর্মান্তিক ঘটনা রাজস্থানের উদয়পুর জেলায়। একটি বাগদানের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে মৃত্যু হল চারজনের। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও ৩২ জন। মনে করা হচ্ছে, খাদে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে উদয়পুর জেলার কোটরায়। অসুস্থদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া, এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন: চিকেন শাওয়ারমা খেতেই বিপত্তি, পেটব্যথা-বমি, ভরতি নেয়নি হাসপাতাল, মৃত যুবক

জানা যাচ্ছে, মৃতদের নাম হল বাবু (৫০), মাসরু (৪০), অমিয়দেবী (৩৫) এবং দিতা (৫৫)। কোটরা থানার ওসি অশোক কুমার সিং জানান, কনে এবং বরের আত্মীয়রা কোটরার সাওয়ান কিরা গ্রামে বাগদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে খাবারের আয়োজন করা হয়। তবে খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরতেই ঘটে বিপত্তি। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের কোটরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। 

মনে করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিষক্রিয়ার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়। ইতিমধ্যেই খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অসুস্থদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য গুজরাটের একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। 

চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ অফিসার (সিএমএইচও) শংকর বামনিয়া জানান, আমন্ত্রিতরা মদের সঙ্গে আমিষ জাতীয় খাবার খেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের পরে বমি হতে শুরু করে এবং তাদেঁর কোটরা মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। সাওয়ান কিরা গ্রামের এক মহিলাকে গুজরাটের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান এবং অন্য একজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার সময় মারা যান।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ২৪ জনকে কোটরার সিএইচসিতে রেফার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে পরে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। তদন্তে দেখা গিয়েছে, যারা দেশি মদ খেয়েছিলেন তারাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বামনিয়া। ইতিমধ্যেই ফুড সেফটির আধিকারিকরা তদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। 

এদিকে, এই খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাবুলাল খারাদি এবং উদয়পুরের জেলা। বর-কনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ খুঁজতে স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত শুরু করেছে।