Sashi Tharoor: শশী থারুরের প্রাক্তন কর্মীকে সোনা পাচারের সময় আটক, কী বললেন কংগ্রেস নেতা?

দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস বৃহস্পতিবার ৫০০ গ্রাম সোনা পাচারের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে একজনের কাছে বৈধ বিমানবন্দর এন্ট্রি পারমিট (এইআর) রয়েছে। তাদের মধ্য়ে একজন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের প্রোটোকল টিমের অংশ হিসাবে কাজ করেন বলে খবর।

কাস্টমস আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বুধবার ব্যাঙ্কক থেকে বিমান থেকে নামার পর আসা এক ভারতীয় নাগরিক থারুরের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) শিব কুমার প্রসাদের হাতে সোনা তুলে দেন।

ব্যাঙ্কক থেকে আসা ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। 

‘আরও তদন্তে জানা গেছে যে যাত্রীকে গ্রহণ করতে এবং চোরাচালানে সহায়তা করতে বিমানবন্দরে আসা আরও এক ব্যক্তির জড়িত থাকার বিষয়টি পাওয়া গেছে। উক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি ভারী সোনার চেন উদ্ধার করা হয়, যা আগমনী হলের ভিতরে থাকা যাত্রী তাকে হস্তান্তর করেন। বিমানবন্দরের যুগ্ম কমিশনার বরুণ কৌন্ডিনিয়া জানিয়েছেন, তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির কাছে অ্যারোড্রোম এন্ট্রি পারমিট ছিল।

গ্রেফতারির প্রতিক্রিয়ায় থারুর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেন, আইনকে অবশ্যই তার নিজস্ব পথে চলতে হবে।

‘আমি যখন ধর্মশালায় প্রচারের উদ্দেশ্যে ছিলাম, তখন আমি আমার স্টাফেদের মধ্য়ে একজন প্রাক্তন সদস্যের সঙ্গে জড়িত একটি ঘটনা শুনে হতবাক হয়ে যাই। যিনি বিমানবন্দরের সুবিধার জন্য সহায়তার ক্ষেত্রে আমাকে পার্টটাইম পরিষেবা দিতেন। তিনি একজন ৭২ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি যিনি ঘন ঘন ডায়ালাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং সহানুভূতির ভিত্তিতে তাকে পার্টটাইমের ভিত্তিতে রাখা হয়েছিল।  

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি তার প্রাক্তন স্টাফ এবং ‘বিমানবন্দর সুবিধা সহায়তা’ দেওয়ার জন্য তার কাছে পার্টটাইম কাজ করতেন।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি কোনও অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছি না এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে পুরোপুরি সমর্থন করি। আইনকে তার নিজস্ব পথে চলতে হবে।