থানায় জিডি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে শোকজ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২০ দিন পর একটি ভোটকেন্দ্র থেকে অব্যবহৃত দুই হাজার ১০০ ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে থানায় জিডি ও প্রিসাইডিং অফিসারকে শোকজ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) সকালে ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ভোটকেন্দ্র আকলাস শিবপুর শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। যেখানে ২১টি ব্যালট বইয়ে চেয়ারম্যান পদে ৭০০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭০০ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭০০ মোট দুই হাজার ১০০ অব্যবহৃত ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুধবার (২৯ মে) সকালে আলমপুর ইউনিয়নের আকলাস শিবপুর শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ক্ষেতলাল সরকারি ছাইদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানজির আহমেদ সাকিব অব্যবহৃত ২১টি ব্যালট বইয়ে দুই হাজার ১০০ ব্যালট পেপার আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় আমি ক্ষেতলাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।’

জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম বলেন, ‘প্রথম ধাপে গত ৮ মে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন ক্ষেতলাল সরকারি ছাইদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানজির আহমেদ সাকিব। ওই কেন্দ্র মোট ভোটার তিন হাজার সাত জন। চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এক হাজার ৯৯৭টি। মঙ্গলবার (২৮ মে) আকলাস শিবপুর শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের একটি আলমারি খোলা হয়। অফিস সহায়ক আলমারির ভেতরে একটি বস্তা দেখে সেই বস্তা খুলে ভেতরে অব্যবহৃত ২১টি ব্যালট বই দেখেন। বিষয়টি তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রধান শিক্ষককে জানান। প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান ব্যালট পেপার পাওয়ার ঘটনাটি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানান। নির্বাচন কর্মকর্তা ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের পিয়নের মাধ্যমে তার কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে বলেন।’

তিনি আরও জানান, বুধবার ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তানজির আহমেদ সাকিব ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসানের কাছ থেকে ব্যালট পেপারগুলো বুঝে নেন। এরপর তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপারগুলো জমা দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শেষে অব্যবহৃত ব্যালট পেপার বুঝিয়ে দিতে হয়। কেন এমনটা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসারকে শোকজ নোটিশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।