Bangladeshi MP Murder case: সাংসদের বাকি দেহাংশ কোথায়? হদিশ পেতে সিয়ামের খোঁজে পুলিশ

বাংলাদেশের সাংসদকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার ঘটনায় নাড়া দিয়েছে দু’দেশকেই। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেহের কিছু অংশ কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয় এবং বাকি অংশ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সাংসদের হাড় এবং মাথার টুকরোগুলো একটি লাগেজে ভরে জিহাদ ও সিয়ামকে দেওয়া হয়, যারা এই দেহাংশগুলো কাছাকাছি বর্জ্য খালে ফেলে দেয়। জিহাদকে গ্রেফতার করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। এবার পুলিশ মনে করছে সিয়াম ধরা পড়লেই বাকি দেহাংশ উদ্ধার করা যাবে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলোই সম্ভবত কমোডে ফ্ল্যাশ করা হয়েছিল। এখন বাইরে ফেলে দেওয়া খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই খোঁজেই খুনে জড়িত অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদকে গ্রেফতারের পর কলকাতা পুলিশ তাকে নিয়ে গত এক সপ্তাহে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত কোনো দেহাংশ উদ্ধার করা যায়নি।

কলকাতা ও ঢাকার পুলিশ মনে করছে যে, সিয়ামের নাগাল পেলেই দেহের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিয়াম হোসেনের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। এলাকায় তিনি সাগর নামে পরিচিত। তাঁর আসল বাড়ি বরিশালে হলেও তাঁর বাবা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বালি ৪০-৪২ বছর আগে চাকরির সুবাদে বোরহানউদ্দিনে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সিয়াম সেখানে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

আরও পড়ুন। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল রেলের লেবেল ক্রসিং গেট, অবরুদ্ধ ফুলিয়া-বাদকুল্লাগামী রাস্তা

সিয়াম এলাকায় সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সিয়াম ঢাকার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি করতেন। তাঁর চাকরির সুবাদে প্রায়ই ভারত ও নেপালে যাতায়াত করতেন। জানা গেছে, সিয়াম বরিশাল, বোরহানউদ্দিন এবং ঢাকায় প্রচুর জমিও কিনেছেন। সম্প্রতি ২২ লাখ টাকা দিয়ে বরিশালে একটি জমি কেনেন।

সিয়ামের এক বাল্যবন্ধু জানিয়েছেন, গত দু-তিন বছরে সিয়ামের জীবনযাপনে প্রচুর পরিবর্তন আসে এবং তিনি প্রচুর টাকার মালিক হন। কয়েকদিন পর পরই তিনি ভারত ও নেপালে যেতেন। তবে ঢাকায় তিনি কী করতেন, তার উত্তরে তিনি একেক সময় একেক রকম উত্তর দিতেন। কিছুদিন আগেও ৪০ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন সিয়াম।

এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এবং দেহের বাকি অংশগুলো উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সিয়ামকে গ্রেফতার করা গেলে এই রহস্যের পুরো চিত্রটি স্পষ্ট হবে।

আরও পড়ুন। শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের ২০ দিন ধরে বিষ খাইয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দাবি শংকর ঘোষের