অতিরিক্ত বেশি তেলে রান্না করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, কিন্তু তার থেকেও বেশি ক্ষতিকারক বারবার একই তেল গরম করে তাদের রান্না করা। প্রায় প্রত্যেকটি মধ্যবিত্ত পরিবারে এই দৃশ্য আপনি দেখতে পাবেন। ভাজা ভুজি হয়ে যাওয়ার পর বাড়তি যে তেল পড়ে থাকে, সেই তেলে অন্য পদ রান্না করতে দেখা যায় গৃহস্থের বাড়িতে। কিন্তু এখানেই হয়ে যায় সব থেকে বড় ক্ষতি।
সম্প্রতি ICMR তাদের খাদ্য তালিকায় সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলেছেন, উদ্ভিজ্জ তেল বারবার গরম করার ফলে তার মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক যৌগ গুলি বেরিয়ে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। বারবার তেল গরম করার ফলে সেটি এমন একটি বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়ে যায় যা থেকে তৈরি হতে পারে কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং ক্যানসার।
(আরো পড়ুন: ক্রুজে বসে প্রাক-বিবাহ সেলিব্রেট করবেন অনন্ত রাধিকা, আসন্ন ইভেন্টের প্রতিটি মুহূর্তই হবে কোটি টাকার)
নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, রান্নার সময় যদি তেল ব্যবহার করতেই হয় তাহলে অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো তেল, নারকেল তেল ও পাম তেল ব্যবহার করতে পারেন আপনি। এই তেল গুলি উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল থাকে এবং শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। তবে একই তেলে যদি বারবার রান্না করতেই হয় তাহলে খেয়াল রাখতে হবে তেল যেন খুব গরম না হয়ে যায়। অতিরিক্ত গরম করা তেলে যদি আবার তেল ঢেলে আপনি রান্না করেন তাহলে তা হয়ে যাবে বিষের সমান।
বারবার একই তেলে রান্না করলে থাইরয়েড, ফুসফুসের সমস্যা, প্রজযন অঙ্গে টিউমার, ক্যানসার, নার্ভের প্রবলেম, সন্তান বিকাশে সমস্যা, শুক্রানুর মান কমে যাওয়া এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া বারবার তেল গরম করে রান্না করলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ গরম করা তেলে উচ্চ স্তরে ট্রান্স ফ্যাট থাকতে পারে, যা অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ হিসেবে প্রমাণিত।
(আরো পড়ুন: ডেটিং অ্যাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনীহা, কিন্তু কেন)
নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে তেল ছাড়া আপনি বেছে নিতে পারেন অন্য বিকল্পও। বেকিং বা স্ট্রিমিং করে যদি খাবার তৈরি করা যায় তাহলে শরীরের পক্ষে আরও বেশি তার স্বাস্থ্যকর প্রমাণিত হবে। এছাড়া কিছু শাকসবজি কাঁচা খেলেও আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে তা উপকারী হবে। তাই ভাজাভুজি ছাড়া খাবারে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করবেন না, তাতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।