Remal effect in Agartala: রেমালের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে বহু গাছ, ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন আগরতলা

বাংলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্যে। যারমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরা। রাজ্যের আগরতলা শহরে রেমালের তাণ্ডবে একাধিক গাছ বিদ্যুতের তার, খুঁটির ওপর ভেঙে পড়ে । তার ফলে সোমবার রাত থেকে কার্যত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে রয়েছে আগরতলা শহরের বিভিন্ন অংশ। ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা। ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল (আইজিএম) হাসপাতাল এবং আগরতলা সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: একসঙ্গে দুই কৃষকের মৃত্যু বনগাঁয়, রেমালের জেরে বিদ্যুতের তারে মর্মান্তিক ঘটনা

রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের তারে গাছ এবং গাছের ডাল উপড়ে পড়ার ফলে একাধিক জায়গায় তার ছিঁড়ে গিয়েছে। এরফলে ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এই অবস্থায় শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। 

যদিও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আগরতলা সহ অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন এখনও করা হয়নি। এছাড়া, ত্রিপুরার অন্যান্য জেলাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রভাবিত হয়েছে। ফলে শহরাঞ্চলে পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিতেও পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনও সংবাদপত্র ছাপা সম্ভব হয়নি মঙ্গলবার।

আরও পড়ুন: রেমালে উপড়েছে ৩০০-র বেশি গাছ, ক্ষতিপূরণে ১৫০০ বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা KMC-র

যদিও গাছ ভেঙে পড়ার ফলে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাস্তার ধারে পার্ক করা বেশ কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, রেমালের প্রভাবে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরায়। মঙ্গলবারও কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। শক্তি হারিয়ে এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে রেমাল। তবে বুধবারের মধ্যে ত্রিপুরার আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পড়ুনঃ রেমাল-দুর্যোগের রাতে সুন্দরবনে হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, সদ্যোজাতের মৃত্যু

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ত্রিপুরায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। উনাকোটি জেলায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫২.৩ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ৬৭ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড। এছাড়া অন্যান্য জায়গাতেও ২০০ মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যারফলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে একাধিক নদী।