Siliguri Drinking Water Crisis Update: শিলিগুড়ির পানীয় জল সংকটের জন্য দায়ী সিপিএম, আজব সাফাই গৌতমের, কবে মুক্তি জানুন?

শিলিগুড়িতে পানীয় জলের ভয়াবহ সংকট। 

কী বললেন মেয়র গৌতম দেব? 

শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, ওদের নামই নিতে ইচ্ছে করে না। এবার শূন্য থেকে মাইনাসে যাবে। সেই জোট আর তাদের সহযোগী দল নানা কথা বলছে। আর কয়েকটি প্রেস মিডিয়া। সংবাদমাধ্যম কী পরিবেশন করবে সেটা তো আমি ঠিক করে দিতে পারব না। কিন্তু একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার কাছে মানুষ অসহায় হয়ে যায়। সেখানে কীভাবে সমস্যার সমাধান না করে…বেশি আতঙ্ক তৈরি করছে….আমায় এটা ব্যথিত করেছে।

কিন্তু আর কতদিন এই জল সংকটের ভয়াবহ পরিস্থিতি থাকবে?

 এনিয়ে মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন, আর দুদিন আড়াইদিন এই জলযন্ত্রণা থাকবে। আমরা আগেই মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এটা আমাদের অপরাধ নয়। এটা আমাদের উত্তরসূরীদের পাপের বোঝা আমাদের বহন করতে হচ্ছে। আমাদের নীলকণ্ঠ হতে হচ্ছে। আমাদের উত্তরসূরীদের ব্যর্থতা, তাদের নিষ্ক্রিয়তা আমাদের বহন করতে হচ্ছে। ৪১ বছর-৪৫ বছর সরকারের একটা অংশে তাদের থাকা, জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাদের থাকা, তারা শিলিগুড়ি শহরে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। যে যন্ত্রণা তাঁরা তৈরি করেছেন তা থেকে আমরা বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

কিন্তু যে জল যোগান দেওয়া হচ্ছে তা তো পর্যাপ্ত নয়?  

 গৌতম দেব বলেন, আমি তো বলেছি ৫৫ এমএল আমি পৌঁছতে পারব না। বিকল্পভাবে যে জল পাঠিয়েছি…জলটা অন্য পারপাসে ব্যবহার করা যাচ্ছে। মানুষের অসুবিধা তো হচ্ছে। আমি বলতে পারি না যে মানুষের অসুবিধা হচ্ছে না। মানুষ অসুবিধাটা নিচ্ছে। মানুষ সহ্য করছে। মানুষ বুঝতে পারছে এই অসুবিধার জন্য যারা এই বোর্ডে রয়েছে তারা দায়ী নয়। আমাদের প্রচেষ্টাটা মানুষ দেখছে। এখানেই বড় হয়েছি। এখানেই মৃত্যু হবে আমার। তবে কিছু সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের সমস্যা হচ্ছে। তাদের প্রতি শুভেচ্ছা থাকল। ১ তারিখ পর্যন্ত অনেক কিছু লিখে যান। 

একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্রবল বৃষ্টিতে মহানন্দার জলে অক্সিজেন বৃদ্ধির জেরে আপাতত পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করেছে শিলিগুড়ি পুরসভা। আগামী ২ জুন পর্যন্ত সেখানে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর। এই অবস্থায় পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে পাড়ায় পাড়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের ট্যাঙ্কার যাচ্ছে। সেখানে লাইন দিয়ে জল ভরছেন আম জনতা। সেই সঙ্গে জলের পাউচও বিলি করা হচ্ছে। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাম নেতৃত্ব ও মিডিয়ার একাংশের উপর চটে লাল গৌতম দেব। কার্যত এই পরিস্থিতির জন্য বিগত বাম বোর্ডকেই কাঠগড়ায় তুললেন গৌতম দেব। 

অন্যদিকে ইতিমধ্য়েই সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য ইতিমধ্য়েই পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত তিনিই ছিলেন বিগত বাম বোর্ডের মেয়র।