‘বঙ্গবন্ধু আরও ৫ বছর সুযোগ পেলে বাংলাদেশ মালেশিয়ার চেয়ে উন্নত হতো’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাহাথির মোহাম্মদ যেমন ২২ বছরে মালেশিয়াকে পরিবর্তন করেছিলেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুও মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থেকে সে পথেই যাচ্ছিলেন। তিনি আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারলে মালেশিয়ার চেয়েও বাংলাদেশের উন্নতি হতো।

শনিবার (১ জুন) ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করেছেন। তিনি সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণ, হজযাত্রীদের জন্য সরকারি অনুদান, বিশ্ব ইজতেমার সম্প্রসারণেও তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। কূটনৈতিক তৎপরতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনন্য।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর একাডেমিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ফলে তিনি আলেম ও হাফেজদের কাছে ‘কওমি জননী’ উপাধি পেয়েছিলেন। ইসলামেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলা হয়েছে। তাই আমরাও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাস্তবায়ন হিসেবে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় রূপ প্রদানের চেষ্টা করছি। নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট দেশ গড়তে সাহায্য করবে।

সভাপতির বক্তব্যে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা সবার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। আর এই আয়োজন তারই একটি প্রতিফলন। আমরা জানি তাদের বিভিন্ন সময় নানা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়। আমরা চাই তারা আমাদের মতো মূল ধারায় আসুক। এর জন্যই তাদের সব সমস্যা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী দাওরাকে মাস্টার্সের মর্যাদা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের যে রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলো রয়েছে, তা যেন মাদ্রাসাগুলোতেও থাকে। সকালবেলায় মাদ্রাসাগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠুক। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতির অংশ হোক। এ জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত করতে আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক পদও রেখেছি।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারকারী হলো শাহ হাসনাঈন রেজা, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, টঙ্গী। দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী ইয়াসিনুর রহমান জিহাদ, দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা, ডেমরা। তৃতীয় স্থান অধিকারকারী আব্দুল মুত্তালিব, ঠনঠনিয়া নূরুল আলানূর ফাজিল মাদ্রাসা, বগুড়া।