Cyclone Remal damage: রেমালের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মোদী-শাহ, রাজ্যগুলিকে সাহায্যের আশ্বাস

ঘূর্ণিঝড়ের রেমালে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয় এবং মিজোরামে। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্ত রকম সহায়তা করার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধ্যান থেকে কিছুটা সময় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীকে পুরো পরিস্থিতির কথা জানান অমিত শাহ। তারপরেই তিনি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্ত রকমের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রেমালের তাণ্ডবে মিজোরামে পাথর খনিতে ধস নেমে মৃত ১০, আটকে একাধিক শ্রমিক

প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘যারা প্রভাবিত হয়েছে তাদের সকলের জন্য আমি চিন্তিত। তাদের জন্য আমি প্রার্থনা করছি।বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছি। কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলিকে সমস্ত রকমের সহায়তা করবে। নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন আধিকারিকরা। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য কাজ করছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তিনি এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয় এবং মিজোরামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থ তার প্রার্থনা করেছেন এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি পাঁচটি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পরে এ বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের পর অসমের বিভিন্ন অংশ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিতে আমাকে ফোন করেছিলেন।’ উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে অসমে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে, মিজোরামেও বিভিন্ন অংশে ভূমিধসের কারণে বিভিন্ন রাস্তায় যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মিজোরামে।