দুধ এমন একটি পানীয়, যা আপনার শরীরকে সার্বিকভাবে সুস্থ রাখতে পারে। তবে দুধের গুরুত্ব অপরিসীম একথা সকলে জানলেও দুধ খাওয়ার সঠিক সময় অথবা কীভাবে দুধের পুষ্টিগুণ সহজে পাওয়া যায়, সেই তথ্য দেওয়ার জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন।
কেন পালন করা হয় বিশ্ব দুধ দিবস
বিশ্বব্যাপী দুধের গুরুত্বকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিবছর একজন পালন করা হয় বিশ্ব দুধ দিবস। দুধ শুধুমাত্র নবজাতকদের জন্য নয়, যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই ভীষণ উপকারী একটি পানীয়। তবে দুধের গুণাগুণ সম্পর্কে জানার আগে দুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন আপনার।
(আরো পড়ুন: এই ৫ সস্তা শাকেই লুকিয়ে লাখ টাকার গুণ! ডায়াবিটিস থেকে ওজন সবই রাখে নিয়ন্ত্রণে)
দুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
দুধ খাওয়ার সর্বোত্তম সেরা সময় হলো ব্রেকফাস্ট করার সময়। এই সময় প্রায় সকলেই তাড়াতাড়ি খাবার খেতে চান। তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করতে গিয়ে বেশিরভাগ খাবার খাওয়া হয় না তাই সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়ার জন্য এই সময় দুধ খাওয়া উচিত। আপনি দুধের সঙ্গে কনফ্লেক্স, ওটস মিশিয়ে খেতে পারেন। শিশুদের দুধের সঙ্গে দিতে পারেন সেরেল্যাক। আপনি ঠান্ডা বা গরম যেভাবেই ইচ্ছা দুধ খেতে পারেন। এতে দুধের পুষ্টির কোনও পরিবর্তন হয় না।
দুধের মধ্যে থাকে কী গুনাগুন?
১ গ্লাস দুধের মধ্যে থাকে ৪ গ্রাম কার্বোহাইডেট, ৩ থেকে ৪ গ্রাম প্রোটিন, ৩-৪ গ্রাম প্রোটিন, ৩ থেকে ৬ গ্রাম ফ্যাট। তবে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কোন দুধ খাচ্ছেন তার ওপর। গরুর দুধ বা মহিষের দুধের পুষ্টিগুণ বাজার চলতি দুধের থেকে অনেকটাই বেশি। যদি হজম ক্ষমতার কোনও সমস্যা না থাকে তাহলে বাজার চলতি দুধ না খেয়ে গরুর দুধ খাওয়াই ভালো।
(আরো পড়ুন: আলুর খোসা ফেলে দেন? এটি খেলে কতটা উপকার পাবেন জানলে আর ফেলবেন না)
দুধ খেলে কী কী উপকার পাবেন আপনি?
শরীরের সার্বিক প্রোটিনের জন্য আপনি দুধ খেতে পারেন। দুধ খেলে শরীরের প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যারা মাছ মাংস বা ডিম খেতে পারেন না তাদের জন্য দুধ হল প্রোটিনের ভান্ডার। দুধে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি এবং ফাইবার আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধ রক্তে শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দুধ কারা খাবেন না?
আপনার যদি দুধ খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তাহলে দুধ খাওয়া চলবে না আপনার। এক্ষেত্রে আপনি দুধ দিয়ে তৈরি সন্দেশ, ছানা অথবা ঘি খেতে পারেন। এছাড়া ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোনোও ভাবেই দুধ খাবেন না। যদি একান্তই খেতে হয় তাহলে ঘুমোতে যাওয়ার অন্ততপক্ষে দু’ঘণ্টা আগে দুধ খাওয়া উচিত।