Total Heat stroke death in India: ওড়িশায় ৪৮ ঘণ্টায় গরমের বলি ৬৭ জন, দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে হল ১৬৫

ভোটের উত্তাপের মধ্যেই গ্রীষ্মের দাবদহে পুড়ছে ভারতের একাধিক রাজ্য। যার মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি ওড়িশায়। গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে আরও ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, হিট স্ট্রোকের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, ছত্তিশগড়, দিল্লি সহ অন্যান্য একাধিক রাজ্যে তীব্র গরমে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত তাপপ্রবাহের বলি হয়েছেন ১৬৫ জন। 

আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের জেরে হিটস্ট্রোক, ৩ রাজ্যে ৩৬ ঘণ্টায় মৃত্যু ভোটকর্মী সহ ২২ জনের

জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ওড়িশায় গত ৭২ ঘণ্টায় ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বারাঙ্গিরে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। যদিও এখনও পর্যন্ত ওডিশা সরকার হিটস্ট্রোকে ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাকি ৮১ জনের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। ওড়িশায় শনিবার যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে রয়েছে জাজপুর জেলার বিঞ্জারপুর ব্লকের একজন ভোট কর্মী এবং বালেশ্বর জেলার নীলগিরি ব্লকের একজন বয়স্ক ভোটার। সম্বলপুর জেলায় ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বালাঙ্গিরে, যা সবচেয়ে বেশি। বাকি ৩০টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্তে।  

অন্যদিকে, শনিবার ছত্তিশগড়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চাম্পা জেলায়। যেখানে একজন কৃষক, ২ জন ট্রাক চালক এবং গাড়ির একজন হেলপার সানস্ট্রোকে মারা গিয়েছেন। প্রথমে তারা অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পঞ্চম মৃত্যুর ঘটনাটি কাঙ্কেরে ঘটেছে।

মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলায় গত ২৮ মে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, এবছর এ পর্যন্ত রাজ্যে ২৮১টি হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। এদের নাসিকের ২৯ জন। এরপর জালনার ২৮ এবং বুলধানার ২৩ জন। পুনেতে এ পর্যন্ত ৮টি হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। মুম্বইয়ে তিনটি এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, গরমে দিল্লিতেও বিপজ্জনক অবস্থা। সেখানে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিনের মধ্যে ওড়িশায় পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমলেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে।এদিকে, ওড়িশার বিভিন্ন জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পেয়ে মুখ্য সচিব পিকে জেনা এবং বিশেষ ত্রাণ কমিশনার (এসআরসি) সত্যব্রত সাহু শনিবার জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।