Voting percentage controversy: ফের শতাংশ সংশয়, লোকসভার সঙ্গে মিলছে না ২ বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটদানের হার

ভোটগ্রহণ মিটলেও ভোটদানের হার নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নির্বাচন কমিশনের। এবার বরাহনগর ও ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনের সঙ্গে পরিসংখ্যান মিলছে না লোকসভা নির্বাচনে ওই একই কেন্দ্রের বিধানসভা ওয়াড়ি ভোটদানের হারের। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শাসক – বিরোধী ২ পক্ষই। এব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কমিশন।

আরও পড়ুন – শালবনিতে হচ্ছে না লৌহ – ইস্পাত কারখানা, জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

পড়তে থাকুন – ছাপ্পা ভোট পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার দলের নেতা, ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের

লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের ২ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। গত ৭ মে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে ভোটগ্রহণ হয়েছে ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের। বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মৃত্যুতে ওই আসনটি খালি হয়।

এছাড়া গত ১ জুন দমদম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সঙ্গে ভোটগ্রহণ হয়েছে বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের। বিধায়ক তাপস রায়ের ইস্তফায় আসনটি খালি হয়।

কোথাও বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে হলে পাশাপাশি ২টি ব্যালট ইউনিটে আলাদা আলাদা করে বোতাম টিপে ভোট দিতে হয় ভোটারকে। সেক্ষেত্রে কেউ একটি ব্যালট ইউনিটে বোতাম টিপে অন্যটিকে উপেক্ষা করে চলে যাবেন এমনটা সাধারণত হয় না। কিন্তু তার পরেও ২টি জায়গাতেই লোকসভা থেকে বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট কম পড়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা উপনির্বাচনে ভগবানগোলা বিধানসভা এলাকায় ভোট পড়েছে ৮০.২৬ শতাংশ। কিন্তু ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০.০৭ শতাংশ। অর্থাৎ ০.১৯ শতাংশ এমন মানুষ রয়েছেন যারা লোকসভা নির্বাচনে ভোটদান করলেও বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদান করেননি।

একই ভাবে দমদম লোকসভা নির্বাচনে বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৩.২৩ শতাংশ। কিন্তু বরাহনদর বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৩.১৮ শতাংশ। অর্থাৎ ভোটদানের ফারাক ০.০৫ শতাংশ। শাসক – বিরোধী ২ পক্ষেরই প্রশ্ন, কী করে এই ফারাক হল তা ব্যাখ্যা করতে হবে কমিশনকে।

আরও পড়ুন – মন্ত্রিত্বের শর্তেই TMCর সাথে সেটিং? ভাঙড়ে নওসাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বলে রাখি, লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর ভোটদানের হার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের প্রায় ১৫ দিন পরে কমিশন জানায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর তারা ভোটদানের যে হার জানিয়েছিল কেন্দ্রভেদে তা ৩ – ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।