North Bengal Result: কান ঘেঁষে জিতলেন ‘ক্য়াপ্টেন’ সুকান্ত, কুপোকাত নিশীথ,গড় রক্ষা হলেও উত্তরবঙ্গে বিরাট চাপে BJP

২০১৯ সালেই বোঝা গিয়েছিল উত্তরবঙ্গ কার্যত বিজেপির গড় হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কীভাবে লড়াই করতে হয় সেটা কার্যত শিখিয়ে দিয়েছিল উত্তরবঙ্গ। কিন্তু সেই উত্তরবঙ্গেই এবার বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। কোচবিহার ছাড়া সবকটি আসন জিতলেও এই জেতার মধ্যে কোথাও যেন একটা বিষন্নতা আছে। কিন্তু কেন এমন হল?  এরপর কতজন এমপিকে বিজেপি ধরে রাখতে পারবে সেটা নিয়েও সংশয় থেকেই গিয়েছে। 

কোচবিহার লোকসভা আসন- কোচবিহার লোকসভা আসনে এবারও প্রার্থী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু তৃণমূলের মাস্টারমশাই প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার কাছেই হেরে গেলেন হেভিওয়েট নিশীথ। ৩৯,২৫০ ভোটে পরাজিত। স্থানীয়দের একাংশের মতে, শাহের ডেপুটি হওয়ার পর থেকেই কোচবিহারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। তারই জবাব দিলেন সাধারণ মানুষ। 

জলপাইগুড়ি লোকসভা আসন–  এই আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির ডাক্তারবাবু প্রার্থী জয়ন্ত রায়। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ের পরে এই আসনটা ছিল তৃণমূলের কাছে পাখির চোখ। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি। জয়ের ব্যবধান ৮৬৬৯৩। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের দ্বন্দ্বের জেরে কিছুটা হলেও ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পেরেছে বিজেপি। 

আলিপুরদুয়ার– এই কেন্দ্রে জিতেছেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। ব্য়ক্তিগত ইমেজ তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। চা বলয়ে শেষ মুহূর্তে মন জয়ের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ৭৫৪৪৭ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক।

দার্জিলিং– এই কেন্দ্রে ফের জিতেছেন বিজেপির রাজু বিস্তা। বরাবরের মতোই এবারও পাহাড় ছিল বিজেপির দিকেই। মোর্চা নেতা বিমল গুরুংও নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাজুর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। পরাজিত হয়েছেন তুলনায় কম পরিচিত তৃণমূলের গোপাল লামা। পাহাড়ের ভোট ও শহর শিলিগুড়ির ভোট এবারও বড় ফ্যাক্টর বিজেপির জয়ের পেছনে। 

২০১৯ সালে এই আসনে তৃণমূলের অমর সিং রাইকে ৪,১৩,৪৪৩ ভোটে পরাজিত করেছিলেন রাজু বিস্তা। বিজেপির ভোট শেয়ার ছিল ৫৯.০৮ শতাংশ। এবার দার্জিলিং লোকসভা আসনে রাজু বিস্ত ১৭৮৫২৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন। কংগ্রেসের মুনিশ তামাং মাত্র ৮৩, ৩৭৪ ভোট পেয়েছেন। নোটাতেই ভোট পড়েছে ১৮,০২১টি। 

রায়গঞ্জ– রায়গঞ্জ বরাবরই কংগ্রেসের গড়। তবে এবার এখানে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। জয়ের ব্যবধান ৬৮১৯৭। বিজেপি থেকে তৃণমূলে গিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী তৃণমূলের একাংশও তাঁকে ভালো চোখে দেখেন না। দলের দ্বন্দ্বের জেরেই কি পরাজিত হলেন তিনি?

বালুরঘাট– এই আসনে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল এই আসনের দিকে। কান ঘেঁষে জিতেছেন তিনি। ১০ হাজার ৩৮৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। পরাজিত তৃণমূলের বিপ্লব মিত্র। মূলত গঙ্গারামপুর ভিত্তিক রাজনীতি করেন তিনি। তবে বড় ধাক্কা খেলেন বিজেপির রাজ্য ক্যাপ্টেন।