Viral News: পড়াশুনা না করায় বাবার হাতে মৃত্যু ছেলের, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় হতবাক সকলে

পড়াশুনো না করার জন্য বাবা মায়ের হাতে মার খায়নি এমন ছেলেমেয়ে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু বাবা মা কেন, প্রয়োজনে শিক্ষকের থেকেও শাস্তি পেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। যদিও বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের শাস্তি দেওয়ার প্রচলন প্রায় উঠে গেছে। কিন্তু সম্পতি এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল চীনে, যা শুনলে আপনি হয়ে যাবেন হতবাক।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, পড়াশুনা না করায় ছেলেকে শাস্তি দিতে গিয়ে তাকে একেবারে প্রাণে মেরে ফেলেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি তার ছেলেকে হোমওয়ার্ক করতে সাহায্য করেছিলেন। বাড়িতে ছিলেন না স্ত্রী। ওভার টাইমের কাজে তিনি বাইরে গিয়েছিলেন।

(আরো পড়ুন: এই ৭ সুপারফুড আপনার কিডনিকে রাখে সুস্থ, নিয়মিত খেতে পারেন এগুলি)

বাড়িতে বাবার সঙ্গে একাই ছিল ক্লাস থ্রি-এর ওই ছাত্র। অংক করতে বসে কিছুতেই অংক করতে পারছিল না সে। বারংবার বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও বুঝতে পারছিল না ওই ছোট্ট খুদে। সবশেষে নিজের রাগ ধরে না রাখতে পেরে ওই ব্যক্তি ছেলেকে লক্ষ্য করে একটি ডালিম ছুড়ে মারেন।

ব্যাপারটি প্রথমে বোঝা না গেলেও পরে ব্যথায় ছটফট করতে থাকে ছেলেটি। ব্যথা বাড়তে থাকায় ছেলেটিকে নিয়ে আসা হয় হসপিটালে। জানা যায়, তার মাথার ভেতরের শিরা ফেটে গেছে। তবে সৌভাগ্যবশত ছেলেটি বেঁচে যায়। ছেলেটির মা অথবা পরিবারের কেউ তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও এমন ঘটনায় যদি অভিযোগ করা হয় তাহলে অভিযোগকারী তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

(আরো পড়ুন: কে সিটে বসবে! এই নিয়ে মেয়েদের ধুন্ধুমার শুরু দিল্লি মেট্রোয়, ভাইরাল ভিডিয়ো)

চীনের এই ঘটনার মতো আরেকটি ঘটনা কিছু বছর আগে ঘটেছিল ব্যাঙ্গালুরুতে। সেখানে এক ব্যক্তি তার ছেলেকে মদের জন্য টাকা না দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করে। সুরেশ বেপান্না নামে ৫৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি নিরাপত্তার প্রহরীর কাজ করতেন। সুরেশ রাতে মদ খাওয়ার জন্য ছেলে নর্থানের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। ছেলে টাকা দিতে না চাইলে সুরেশ তাকে একটি ঘরে বন্ধ করে দেয়।

অনেকক্ষণ বন্ধ থাকার পর যখন বাড়ির সকলে সুরেশকে দরজা খুলতে অনুরোধ করে তখন সুরেশ রাগের চোটে দরজার অপরপ্রান্ত থেকে গুলি করে। দুর্ভাগ্যবশত দরজার অন্যপ্রান্তে ছিল নর্থান। গুলি তার বুকে গিয়ে লাগে এবং সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সুরেশকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে চীনের এই ঘটনাটিতে ওই ছাত্রের মৃত্যু না হওয়ায় এবং কোনও অভিযোগ না দায়ের করায় কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অভিযোগকারী বিরুদ্ধে।