বগুড়ার তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৪ প্রার্থী

ষষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় ১৪ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন রয়েছেন।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ পেতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা জামানত ফিরে পাবেন না।

নন্দীগ্রাম উপজেলায় মোট এক লাখ ৫৭ হাজার ১৯০ ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত ভোটারের সংখ্যা ৭২ হাজার ৭১১ জন। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ১০ হাজার ৯০৭ ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নজিবুল্লাহ মজনু মণ্ডল (৬৩৭) ও মাহমুদ আশরাফ (৫৬৪) জামানত খুইয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমিনুল ইসলাম (২৫৪২) ও ইলিয়াস আলীর (১৪০২) জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

শেরপুর উপজেলায় মোট দুই লাখ ৯৩ হাজার ২৭৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮৪ হাজার ৮২৫ জন। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ১২ হাজার ৭২৪ ভোট না পাওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হান্নান (১৭৪১), জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ (৭৪৬) ও রুবেল আহমেদ (৫০৮) জামানত ফিরে পাচ্ছেন না। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিধান কুমার ঘোষ (৭৪৭৩), সাইফুল বারী ডাবলু (৭৩৮৯) ও সাদ্দাম হোসেন (৫২৩০) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজা খাতুন (১০,৫৯১) জামানত হারাবেন।

ধুনট উপজেলায় দুই লাখ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৭০১ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ১৪ হাজার ৫০৫ ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি সাহা (১১,৪২৪), নাজনীল নাহার (১২,১৭৬) ও সিমা আক্তার (১১,৪৮৮) জামানত ফিরে পাবেন না।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন জমা ও জামানত ফিরে পেতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।