App for pool car: ঘরে বসেই জানা যাবে পুলকারের অবস্থান, পড়ুয়াদের সুরক্ষায় অ্যাপ আনছে পরিবহণ দফতর

পুলকারের অবস্থান জানার জন্য অ্যাপ আনার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। দ্রুত পুলকারগুলির জন্য নতুন অ্যাপ আনতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। প্রাথমিকভাবে, কয়েকটি জেলায় পুলকারের জন্য নতুন অ্যাপ চালু করা হবে।সাধারণত স্কুলবাস বা পুলকারে পড়ুয়াদের পাঠিয়ে অধিকাংশ সময়ই দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। তাঁদের সেই দুশ্চিন্তা দূর এই অ্যাপ আনা হচ্ছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে পুলকারের অবস্থান ঘরে বসেই জানতে পারবেন অভিভাবকরা। এর মাধ্যমে পুলকারের গতিবিধি নজরে রাখতে পারবেন। ফলে দুশ্চিন্তা কমবে। সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: পুলকার আটকানো ঠিক নয়, বেআইনি পার্কিং নিয়ে পুরসভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ

মাস খানেক আগে পুলকার দুর্ঘটনার পর পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাবনা করেছিল রাজ্য সরকার। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই অ্যাপ চালুর পদক্ষেপ। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা পুলকারে যাতায়াত করে, তাদের অভিভাবকরা এই অ্যাপটি থেকে যাতায়াত প্রসঙ্গে যাবতীয় তথ্য ঘরে বসেই হাতে পেয়ে যাবেন। আর এর জন্য বিশেষ কোনও পরিশ্রম করতে হবে না। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকলেই হবে। জানা যাচ্ছে, এই অ্যাপটি চালু হলে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আর তারপর সংশ্লিষ্ট স্কুলের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন অভিভাবকরা।

পুলকার নিয়ে কি অভিযোগ ওঠে-

 

উল্লেখ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের পুলকারে যাতায়াত নিয়ে প্রায়ই একাধিক অভিযোগ শোনা যায়। এই অ্যাপটি চালু হলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলার জন্য এই নতুন অ্যাপ চালু করা হবে। তা সফল হলে রাজ্যজুড়ে এই অ্যাপ চালু হলে করা হবে।

প্রসঙ্গত, বাণিজ্যিক গাড়ির উপর নজরদারি চালানোর জন্য আগেই ভিএলটিডি বসানো হয়েছে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে পুলকারের অবস্থানও জানা যাবে। উল্লেখ্য,নকলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় বেশ কিছু স্কুল রয়েছে সেক্ষেত্রে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য নিজস্ব গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়ির অবস্থান জানার জন্য অ্যাপ রয়েছে স্কুলের। তাই অন্যান্য স্কুলের জন্যও এবার অ্যাপ আনছে রাজ্য। এর ফলে প্রায় ২ লক্ষ পড়ুয়ার জীবন সুরক্ষিত হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।