Bangladeshi MP case: সাংসদ হত্যায় অন্যতম অভিযুক্তকে আনা হচ্ছে কলকাতায়, নেপালে গ্রেফতার করা হয় তাকে

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মোহম্মদ সিয়াম হোসেনকে নেপাল থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হল। সিয়ামকে কাঠমান্ডুতে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ।  তাকে কলকাতায় আনাছে সিআইডি।  

নেপালের একটি নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদনে পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘নেপাল পুলিশের ইন্টারপোল শাখা সোমবার সকালে সিয়াম হোসেনকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে।’

হত্যাকাণ্ডের পর সিয়াম নেপালে পালিয়ে যান এবং গত বৃহস্পতিবার নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৫৬ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ এমপি আনার চিকিৎসার জন্য ১২ মে কলকাতায় গিয়েছিলেন এবং ১৭ মে থেকে নিখোঁজ হন বলে তার এক পরিচিত ব্যক্তি ১৮ মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও পড়ুন। ‘‌১৫ দিনের মধ্যে বাংলা থেকে চলে যেতে হবে’‌, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর

অভিযোগ রয়েছে যে, আনারকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি অভিজাত ফ্ল্যাটে খুন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ একজন কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি আনারকে ৮০ টুকরো করে কেটে হলুদ দিয়ে মিশিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন, যার মধ্যে বাগজোলা খালও রয়েছে।

এখনও পর্যন্ত তদন্ত যে দিকে এগিয়েছে তাতে পুলিশের অনুমান, আনারের বন্ধু এবং ব্যবসায়িক অংশীদার আখতারুজ্জামান, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন।

বাংলাদেশ পুলিশ সিয়ামকে চাইলেও, তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে কারণ তিনি ভারত থেকে এসেছিলেন। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র উদ্ধৃত করে এ কথা জানানো হয়েছে এবং অভিযুক্তকে স্থলপথে ভারতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন। প্রথম বর্ষে কলেজে ভর্তি নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু, আবেদন করতে হবে পোর্টালের মাধ্যমে

নেপালের ইন্টারপোল সংস্থা স্থানীয় পুলিশকে সিয়ামের গ্রেপ্তার সম্পর্কে কিছু জানায়নি, নেপাল পুলিশ জানিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার চার সদস্যের একটি দল সিয়ামকে নিতে কাঠমুন্ডু এসেছিল। দলটি নেপাল পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে সিয়ামকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানায়, তবে তাঁদের অনুরোধ মানা যায়নি, কারণ নেপালের সঙ্গে ঢাকার কোনও বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।