একাধিক অদ্ভুত উপায়েই আজকাল মানুষ অর্থ উপার্জন করে চলেছেন। কখনও কখনও কেউ কেউ উপার্জনের আশায় এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছেন, যা আজ পর্যন্ত কেউ হয়ত সেইভাবে আশাও করেননি। ঠিক যেমনটা করেছেন চেং উইং ইয়ে নামে একজন ইনফ্লুয়েন্সর। তিনি ঠিক যা যা করেছেন, সবটা জানলে আপনি সম্পূর্ণভাবে হতবাক হতে বাধ্য। ওই মহিলা বিক্রি করা এমন সব অদ্ভুত জিনিসের মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাতকর্মে ভরা বয়াম! আপনি ঠিকই পড়েছেন, বিক্রেতা তাঁর বাতকর্মে ভর্তি বয়াম বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন।
- মহিলা ২৩৭ পাউন্ডে বাতকর্মের বয়াম বিক্রি করেন
প্রতিটি জারের দাম ২৩৭ পাউন্ড অর্থাৎ ২৪,৮২০ টাকা। এই দামে মানুষ ওই মহিলার বাতকর্মে ভরা একটি জার কিনতে পারেন। তিনি আরও দাবি করেন যে জারটি খোলার পরে ৩০ দিনের জন্য তার ফার্টে ভরা বয়াম সংরক্ষণ করা যেতে পারে। নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগতে পারে যে অন্য কারও বাতকর্মে ভরা জার কেউ কিনবেই বা কেন! কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল এটাই যে এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার তৈরি সব জারই বিক্রি করা হয়ে গিয়েছে! বাতকর্মে ভরা জারই আনন্দের সঙ্গে কিনেছেন সকলে। জার বিক্রির জন্য প্রচার করা একটি বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল যে ‘আপনার প্রিয় স্ট্রিমার কিয়ারাকিটির গন্ধ কেমন তা জানতে চান? শুধু এটি কল্পনা করবেন না, আপনার কৌতূহল নিরসন করুন।’
- বিক্রয়ের জন্য অন্যান্য আইটেমও
গ্রাহকদের বলা হয়েছে যে তাঁর একটি সুগন্ধ তৈরি করতে সময় লাগতে পারে। তাই আগে থেকে বিক্রির দিন, বা জারটি বিক্রির জন্য উপলব্ধ করার তারিখেও কিছুটা হেরফের হতেই পারে। বলে রাখা ভালো, শুধু এই বাতকর্ম জারগুলিই নয়, এগুলি ছাড়াও ওই মহিলার বিক্রির তালিকায় রয়েছে আরও একগুচ্ছ উদ্ভট জিনিস। যেমন তিনি এর আগে অন্তর্বাস পরতেন এবং স্নানের জন্য যে জল ব্যবহার করেছিলেন তাও একইরকম ভাবে বিক্রির জন্য উপলব্ধ।
আশ্চর্যের বিষয় হল, ইয়েই প্রথম ব্যক্তি নন যিনি নিজের বাতকর্মে ভরা বয়াম বিক্রি করার ধারণা নিয়ে এসেছেন। অ্যামোরান্থ নামে একজনও ২০২২ সালে একই রকম কাজ করেছিলেন। যদিও এরপর শীঘ্রই, তাঁকে সিরিয়াস শারীরিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল কারণ ওই ব্যক্তির বাতকর্ম প্ররোচিত ডায়েট তাঁর হার্ট অ্যাটাকের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করেছিল।