WB post poll violence: দিকে দিকে হিংসা, ‘সন্ত্রাস চলছে’ দাবি শুভেন্দুর, ‘বাংলা শান্ত’ পালটা কুণাল

ভোটের পর হিংসা থামার কোনও নাম নেই। রাজ্যজুড়ে অব্যাহত রয়েছে বিরোধীদের মারধর, হুমকি, ভাঙচুর, বোমাবাজির ঘটনা। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, হুগলি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, এককথায় উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেই চলেছে। এমনকী হিংসা রুখতে গিয়ে পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে। ভোট শেষ হতেই রাজ্যজুড়ে যে পরিস্থিতি চলছে তা নিয়ে তৃণমূল ও পুলিশকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

আরও পড়ুন: ভোটের পর হিংসা রুখতে বোসকে চিঠি শুভেন্দুর, ‘BJP চুপ থাকবেনা’ হুঁশিয়ারি সুকান্তর

শনিবার বিকেলে খানাকুলের পানশিউলিতে এক বিজেপি কর্মীর মাথা পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। অভিযোগ, তাঁর ওপরেও হামলা চালানো হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবাতে বিজেপির এক জেলা নেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে আক্রান্ত হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। শুধু তাই নয়, এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা এবং দুর্গাপুরে দলের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবিভিপির কর্মীকেও মারধর করা হয়েছে। এ সমস্ত ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে দেখা গিয়েছে সবুজ ঝড়। আর সেই ঝড়ে গড় হারিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। অভিযোগ, অধীর ভোটে হারার পর থেকেই সেখানে কংগ্রেস কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মালদার মানিকচকেও এক কংগ্রেস কর্মীকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কর্মীকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মালদহের নবনির্বাচিত সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। যদিও সমস্ত ক্ষেত্রেই এই সমস্ত হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে নিশানা করে বলেছেন, ‘রাজ্যজুড়ে মারাত্মক সন্ত্রাস চলছে। মিথ্যা কেস দিয়ে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি জানান, এখন বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে প্রথম কাজ। এই লড়াই চলবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, বাংলা শান্ত রয়েছে। তাঁর দাবি, এসব যেমন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে হচ্ছে আবার অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজেরা এরকম কাণ্ড ঘটাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও রকম প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদন করেছেন বলে কুণাল জানান।