Cancer in India: ভারতে যুব সমাজের মধ্যে বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি, কী কারণ রয়েছে এর পিছনে

বিগত বেশ কয়েক বছরে ক্যানসারের ঝুঁকি এতটাই বেড়ে গেছে যে বিশ্বব্যাপী এই রোগটি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত চিকিৎসক মহল। প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়ে গেলে যদিও বেঁচে যাওয়ার চান্স থাকে কিন্তু শেষ মুহূর্তে ধরা পড়লে আর কিছুই করার থাকে না। বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে তো বটেই, গত বেশ কয়েক বছরে ভারতের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যেও ক্যানসারের প্রবণতা ব্যাপক আকারে লক্ষ্য করা গেছে।

কেন বাড়ছে ক্যানসার? 

 

সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুব সম্প্রদায়ের ক্যানসার হওয়ার প্রবণতার পেছনে সবথেকে বড় দায়ী হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবারে ভারতের যুব সম্প্রদায় এত বেশি অভ্যস্ত, কখন যে অতর্কিতে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তা তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে না।

(আরো পড়ুন: মাথার মধ্যেই নাকি একটা কম্পাস আছে! গবেষণায় ধরা পড়ল অদ্ভুত এক তথ্য)

সুস্থ থাকতে হলে করতে হবে এই কাজ 

 

শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া প্রয়োজন তেমন প্রতিদিন শাক সবজি, ফল এবং গোটা শস্য খাওয়া উচিত। কিন্তু প্রতিদিনের ইদুর দৌড়ে কোনওটাই হয়ে ওঠে না ভারতীয় যুবক যুবতীদের। উল্টে প্রতিনিয়ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া যেন আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।

ক্যানসার এমন একটি দুরারোগ্য রোগ যা শরীরে একবার প্রবেশ করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব মুশকিল। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে তাই হাজার ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে সকলকে। সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খেতে হবে তেল ঝাল মসলা বিহীন খাবার।

(আরো পড়ুন: হজমের সমস্যা থেকে ত্বকের স্বাস্থ্য, কাঁচা পেঁপের রস কী কী উপকার করলে জানলে চমকে যাবেন)

প্রসঙ্গত, গবেষণা জানা গেছে ২০২২ সালে ভারতে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ছিল আনুমান ১৪,৬১,৪২৭ জন। বর্তমানে প্রতি নয় জনের মধ্যে একজনের মধ্যে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরুষদের মধ্যে যেমন দেখা যাচ্ছে ফুসফুসের ক্যানসার তেমন মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে লিউকোমিয়ার প্রবণতা। ২০২০ সালের থেকে ২০২৫ সালে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আনুমানিক ১২.৮% বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।