Richest MP: দেশের সবথেকে ধনী সাংসদ কে জানেন? সম্পত্তি জানলে মাথা ঘুরে যাবে, হচ্ছেন মন্ত্রী

তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) নেতা চন্দ্র শেখর পেম্মাসানি অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টুর আসন থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং মোদী ৩.০ মন্ত্রিসভার অংশ হচ্ছেন তিনি এমনটাই খবর। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া সবচেয়ে ধনী প্রার্থীও হলেন পেম্মাসানি। অর্থাৎ পরিসংখ্য়ান অনুসারে গোটা দেশে য়ত এমপি রয়েছেন তাদের সবার থেকে ধনী তিনি। পেশায় তিনি চিকিৎসক। তবে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ একেবারে নজরকাড়া। 

চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপির নেতা, যা ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, লোকসভার সবচেয়ে ধনী সাংসদ হয়েও পেম্মাসানির সম্পত্তির পরিমাণ ৫,৭০৫ কোটি টাকা।

অন্ধ্রপ্রদেশের লোকসভা নির্বাচনে টিডিপি নেতা ওয়াইএসআরসিপি থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিলারি ভেঙ্কট রোসাইয়াকে ৩.৪ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

টিডিপি নেতা জয়দেব গাল্লা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন পাম্মাসানি।

গাল্লা এক্স-এ টুইট করেছেন, ‘প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডঃ @PemmasaniOnX অভিনন্দন। আপনার প্রথম রাজনৈতিক কার্যকালে কেন্দ্রীয় স্তরে জাতির সেবা করার জন্য এটি একটি সম্মান। গুন্টুরের মানুষ এবং পুরো এপি আপনার জন্য গর্বিত। আপনার নতুন ভূমিকার জন্য শুভকামনা। আপনি ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন এবং অর্থবহ প্রভাব ফেলুন।

কে এই চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি?

টিডিপি নেতা চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি, যিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অভিষিক্ত হয়েছিলেন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। পেশায় চিকিৎসক পেম্মাসানির পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ ৫,৭০৫ কোটি টাকারও বেশি, যা তাঁকে লোকসভার সবচেয়ে ধনী সাংসদ করে তুলেছে।

রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকেই তাঁর পরিবার টিডিপিকে সমর্থন করে আসছে। পেম্মাসানি তেনালির বুড়িপালেম গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উচ্চ-স্টেক পরীক্ষার জন্য ডিজাইন করা অনলাইন লার্নিং সরঞ্জামগুলির জন্য একটি বিশিষ্ট বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম ইউওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা।

গুন্টুর লোকসভা আসন থেকে জয়ী হওয়ার পরে, চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি এই কেন্দ্র থেকে দু’বারের সাংসদ জয় গাল্লাকে প্রতিস্থাপন করেছেন, যিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

পেশায় তিনি চিকিৎসক। কিন্তু তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি প্রচুর। সেই নিরিখেই তিনি আর্থিক দিক থেকে অন্যান্য সাংসদদের ছাপিয়ে গিয়েছেন। দেশে যত সাংসদ রয়েছেন সবার থেকে ধনী তিনি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও একেবারে নজর কাড়া।